সুস্থ থাকতে হলে পটোল খাবেন বেশি
পটোল হল আমাদের সবার পছন্দের সবৃজি । শীতকাল ছাড়া প্রায় সারা বছর বাজারে পটোল পাওয়া যায় । তবে গ্রীষ্মকালে এর উৎপাদন বেশী হয়ে থাকে । পটোলের ফল এবং পাতাসমেত কচি ডাল ( পলতে ) দুটোই সবৃজি হিসেবে খাওয়ার চলন আছে । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল - ট্রাইকো স্যানথোস ডাইওইকা । পুষ্টিগুণঃ পটোল হল পুষ্টিগুণসম্পন্ন সব্জি । খেতেও সুস্বাদু । পুষ্টিবিজ্ঞানীরা দেখেছেন ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী পটোলের মধ্যে আছে • ২.২ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৩০ মিগ্রা , ৪০ মিগ্রা , ২ গ্রাম ফসফরাস কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফ্যাট ভিটামিন ' এ' নিকোটিনিক অ্যাসিড উপকারিতা লোহা ১.৭ মিগ্রা , ০.৩ , আশ- ৩ গ্রাম ২৫৫ আই . ইউ ০.৫ মিগ্রা , পটাশিয়াম ভিটামিন - সি' ৮৩ মিগ্রা .। ২৯ মিগ্রা ,
★ পটোলের রস মাথায় লাগালে টাক পড়া বন্ধ হয় ও মাথায় নতুন চুল গজায় ।
★ পটোলের তরকারি খেলে হজম করবার ক্ষমতা বেড়ে যায় ।
★ কাশি , জ্বর ও রক্তের দোষ অর্থাৎ রক্তবিকার সারে ।
★ এলাচ , দারচিনি ও লবঙ্গের গুড়ো মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে । তেতো পটোলের ক্বাথ তৈরী করে মধু মিশিয়ে খেলে পিত্তজ্বর সারে , তৃষ্ণা নিবারণ হয় আর শরীর জ্বালা কমে ।
★ তেতো পটোলের শিকড় সেদ্ধ করে সেই পানি চিনি মিশিয়ে খাওয়ালেও পিত্তজ্বরে উপকার হয় ।
★ ১০ গ্রাম তেতো পলতে , ১০ গ্রাম ধনে এক কাপ পানিতে রাত্তিরে ভিজিয়ে রাখুন । সকালবেলা এই পানি ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খান সমস্ত কৃমি নাশ হবে ।পটোল খেলে ত্বকের রোগেও উপকার হয় । তেতো পটোল ও তেতো নিম পতার ক্বাথ দিয়ে ফোঁড়া ধুয়ে নিলে তাড়াতাড়ি সেরে যায় । তেতো পটোলের পাতার রস টাকের পক্ষে উপকারী ।