করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
উচ্ছে ও করলা হল গরম ও বর্ষাকালের সব্জি । উচ্ছে হল গোলাকার এবং মোটামাপের । আবার করলা হল লম্বাটে এবং আকারে অনেক বড় । এদের বিজ্ঞানসম্মত নাম একটিই এবং সেটা হল- মমরডিকা করণটিয়া । উচ্ছে এবং করলা স্বাদে তেঁতো । এটি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী সবৃজি । পুষ্টিগুণঃ পুষ্টি বিজ্ঞানীদের কথায় প্রতি ১০০ গ্রামে আছে করলা উচ্ছে কার্বোহাইড্রেট ৪.২ গ্রাম ৯.৮ গ্রাম প্রোটিন ১.৬ গ্রাম ২১ গ্রাম ফ্যাট ০.২ গ্রাম ১.০ গ্রাম আশ ০.৮ গ্রাম ১.৭ গ্রাম লোহা ১.৮ মিগ্রা , ৯.৪ মিগ্রা , ক্যালসিয়াম ২০ মিগ্রা , ৫০ মিগ্রা , ফসফরাস ৭০ মিগ্রা , ১৪০ মিগ্রা , পটাশিয়াম ১৫২ মিগ্রা , ১৭১ মিগ্রা , ৮৮ মিগ্রা , ৯৬ মিগ্রা , ভিটামিন - সি' নিকোটিনিক অ্যাসিড থায়ামিন ভিটামিন ' এ' ০.৫ মিগ্রা . ০.৪ মিগ্রা , .০৭ মিগ্রা . ২১০ আই . ইউ .০৭ মিগ্রা ২১০ আই . ইউ উপকারিতাঃ
★ করলার পাতা মূত্র বৃদ্ধি করে , জ্বর সারায় কৃমি নাশ করে । ঔষধ হিসেবেও এর অনেক গুণ আছে । বিখ্যাত প্রাচীন বৈদ্য সুশ্রুতের মতে করলার পাতা জোলাপের কাজ করে এবং প্রয়োজনে বমিও করায় ।
★ ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস শরীরে লাগালে এবং তিনটি করলার পাতা ও তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়ম করে কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
★ অম্লপিত্তের জন্যে যদি ভাত খাওয়ার পরই বমি হয়ে যায় তাহলে করলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে বা কাঁচা নুন মিশিয়ে খেলে তা নিবারণ হয় । তিনটি করলার বিচি ও তিনটি গোলমরিচ একসঙ্গে অল্প পানি দিয়ে পিষে একটু একটু করে বারে বারে খাওয়ালে বাচ্চাদের বমি বন্ধ হয় ।
★ দশ চা চামচ করলা পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায় । কোনা কারণে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটা ঔষধ হিসেবে প্রয়োগ করা যায় ।
* কচি করলা টুকরো করে কেটে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে পিষে চার মাস ধরে সকালে ও সন্ধ্যেবেলায় নিয়মিত দু চা চামচ করে এই চূর্ণ খেলে ডায়বেটিস নিশ্চয় সারবে । সেই সঙ্গে অবশ্য ডায়বেটিসের খাওয়া - দাওয়া বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে । এইভাবে করলা - চূর্ণ খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে শর্করা বা চিনি বেরোনো একবারেই বন্ধ হয়ে যাবে ।
* এক চা চামচ করলার রস নিয়ে তাতে অল্প চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অর্শ ও অর্শ থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয় ।