ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায়_শরীর সুস্থ রাখার ট্রিপস_বিডিঅলপোস্ট_New ways to treat diabetes - Trips to keep the body healthy

শরীরটাকে সুস্থ রাখুন

গ্যাস অম্বল হলে সাবধান
গ্যাস অম্বল কোনদিন হয়নি এমন ব্যাক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে , কিন্তু কখনই এই রোগকে অবহেলা করবেন না । দিনের পর দিন এর থেকে সাময়িক নিষ্কৃতি পেতে বিজ্ঞাপনের ঔষধ মুড়ি মুড়কির মত খাবেন না । গ্যাস অম্বল হওয়ার জন্য রোগি তো কষ্ট পায়ই এমনকি গ্যাস অম্বল থেকে অন্য অনেক রোগের উৎপত্তি হতে পারে । কিন্তু আমাদের দেখতে হবে ঠিক কি কারনে এই গ্যাস অঙ্গন হ্রয়- দীর্ঘ দিন আমাশয় ভুগলে , ঘাড়ে স্পণ্ডিলাইটিস থাকলে , গলব্লাডারে পাথর জমলে বা “ নন ফ্যাংশনাল ” হলব্লাডার থাকলে , লিভারের অসুখ থাকলে , কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে , মানসিক অবসাদ এবং খুব সাধারন ভাবে গ্যাস্টিক আলসার বা পেপটিক আলসার থাকলে গ্যাস অম্বল থেকে ভোগাত্তি অবশ্যম্ভাবি । সময়মত খাবার না খেলে ও গ্যাস অম্বল হয়- মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হল ব্লাডারেই তাদের বেশি বিপত্তি দেখা যায় । সাধারনত মহিলারা নিজেদের খাবার সময় এর ব্যাপারে খুবই উদাসীন । সারা দিনের সমস্ত কাজ করার পর তাঁরা খাবার খান বা অনেক সময় সারাদিন উপোস করেন । দীর্ঘদিন বা দীর্ঘক্ষন না খাওয়ার ফলে গলব্লাডারের ওপর চাপ পড়ে । গলব্লাডারে পাথরের জন্ম হয় । এবং সামান্যতম তেল মি মশলাদার খাবার খেলেই অম্বলের উদ্রেক হয় । একটি ফর্মুলার কথা বলি ইংরেজি এফএর ( ক ) ফিমেল ( খ ) ফারটাইল - সন্তান ধারন ক্ষমতাশালী মহিলা ( গ ) ফেয়ার - ফর্সা ( ঘ ) ফ্যাটি- মোটাসোটা ( ঙ ) ফরটি - চল্লিশ বছর বয়সের আশে পাশে ( চ ) হ্যামস্টিং দীর্ঘদিন দীর্ঘক্ষন ধরে না খাওয়া । দীর্ঘদিন যদি এইজনিত গ্যাস অম্বল অবহেলা করেন । তাতে গলব্লাডারে পাথর জন্মায় এবং কমন বাইল ডাস্ট - এ সেই পাথর আটকে গেলে অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস দেখা দেয় এবং পুরো ব্যাপারটাই জটিল আকার ধারন করে । সময় থাকতে চিকিৎসা করালে রোগি অবশ্যই আরোগ্য লাভ করবে । গ্যাস্টিক আলসার বা পেপটিক থেকেও গ্যাস হলে হঠাৎ জটিল আকার ধারন করে জীবন সংশয় পর্যন্ত হতে পারে । মুড়ি মুড়কির মত বিজ্ঞাপনি ওষুধ খেয়ে নিজের বিপদ ডাকবেন না ।


ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে
ভারতবর্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিস মেলিটাস ' রোগে ভোগেন । এই রোগে দেহে ইনসুলিনের অভাব ঘটে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় । অগ্নাশয়ের ' আইলেটস অফ ল্যাঙ্গার হানস ' - এর ' বিটা ' কোষ থেকে ইনসুলিন হর্মোন নিঃসৃত হয় । রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মান , ইনসুলিন নিয়ন্ত্রন করে । ফলে , ইনসুলিনের অভাব ঘটলে ধীরে ধীরে ব্লাড সুগার বাড়তে থাকে । নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করার পর মূত্রের সঙ্গে ক্রমাগত রক্তের অতিরিক্ত চিনি বেরিয়ে যেতে থাকে । ফলে বার বার প্রসাব হয় , দেহ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে । স্ত্রী - পুরুষ নির্বিশেষে যে কোন বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে । সাধারনত দু ধরনের মানুষের মধ্যে এই রোগের প্রবনতা বেশি থাকে , ( ১ ) যাদের বংশে এই রোগ আছে এবং ( ২ ) মধ্য বয়স্ক , মেদ প্রধান এবং হাইপারটেনশনে যারা ভুগছেন । এছাড়াও অবশ্য নানা কারনে ডায়াবেটিস হতে পারে ।
লক্ষণ - রোগের শুরুতে বারবার এবং বেশি করে প্রসাব হয় , প্রসাবের সময় মূত্রদ্বার জ্বালা করতে পারে । পানি পিপাসা বেড়ে যায় । দেহের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হয় । মেয়েদের লিউকোরিয়া হয় । চামড়া শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায় , দেহে কোন ক্ষত হলে তা সহজে সারে না । প্রচুর খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যায় । রোগি খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় , সামান্য কারনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে , দৃষ্টি শক্তি হঠাৎ কমতে শুরু করে । ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় , অনেকের চুল পড়ে যায় । সময়মত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে , রোগির মৃত্যু হয় আয়ুর্বেদি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সেরে যায় ।

শ্বেতী ছোঁয়াচে অসুখ নয়
শ্বেতী সম্পর্কে অনেক ভ্রান্ত ধারনা এখনও পর্যন্ত আমাদের সমাজে রয়ে গেছে । শুধু গ্রাম্য অশিক্ষিত মানুষদের মধ্যেই নয় শিক্ষিত মানুষরাও শ্বেতী আছে এমন ব্যক্তিদের একটু ভিন্ন চোখেই দেখে । পাশে বসতে পর্যন্ত চায়না । কেউ কেউ আবার শ্বেতীগ্রস্ত ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে করতেও নারাজ । আসলে শ্বেতী রোগের প্রকৃত কারন না জানার জন্যই এই ধরনের ধারনা এখনও সমাজ থেকে দুর করা যায়নি । | আমাদের ত্বকের উপরিভাগের রং স্বাভাবিক থাকার জন্য দায়ী মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ । এই রঞ্জক পদার্থের কিছু কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গেলেই শ্বেতী বা সাদা দাগ দেখা দেয় । কখনো কখনো এই সাদা দাগ দেহের দু - একটি স্থানে দেখা যায় । কখনো বা প্রায় পুরো শরীরে তা ছড়িয়ে পড়ে । লিভার ঠিকমত কাজ না করলে শ্বেতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে । খুব কম ক্ষেত্রে এটি বাবা - মার থেকে সন্তানদের মধ্যে ছড়াতে পারে । শ্বেতীয় লক্ষণ অনেক সময় প্রকাশ পায় জন্মের পর পরই । দেহের বেশির ভাগ অংশই সাদা হয়ে যায় । কখনো আবার শরীরের খুব ছোট অংশ থেকে শুরু হয় । কিন্তু পরে তা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে । এই সব রোগিরা রোদ সহ্য করতে পারেনা । কারও কারও লিভারের গোলমাল হয় , পিত্তবমি হয় , হজমের গোলমাল হয় । আয়ুর্বেদি চিকিৎসাতে এর থেকে পুরোপুরি আরোগ্য সম্ভব ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন