ঝিঙে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা I কাঁচকলার মাহাত্ম উপকারিতা

ঝিঙে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ঝিঙে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা



ঝিঙে হল গরম ও বর্ষাকালের সবৃজি । ঝিঙে জলপ্রধান সব্‌জি । ফলের গঠন হল লম্বাটে । একদিক ক্রমশ সরু হয়ে শেষ হয়েছে । ঝিঙের গায়ে দৈর্ঘ্য বরাবর পাশাপাশি খাঁজকাটা দাগ দেখা যায় এবং এর গা হলো খসখসে । ঝিঙে দু রকমের তেতো ও মিষ্টি । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- লুকা অ্যাকুটাঙ্গুলা । 8 পুষ্টিগুণ ঃ প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে নিম্নলিখিত পুষ্টিগুণ পাবেন কার্বোহাইড্রেট ৩.৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৪০ মিগ্রা , ০.৫ গ্রাম ফসফরাস ৪০ মিগ্রা . ০.১ গ্রাম পটাশিয়াম ৫০ মিগ্রা . ‘ প্রোটিন ফ্যাট আঁশ ভিটামিন - ' এ' রিবোফ্লাবিন উপকারিতা ঃ ০.৫ গ্রাম ১.৬ মিগ্রা , ৫৬ আই , ইউ লোহা ভিটামিন ' সি' .০১ মিগ্রা . নিকোটিনিক অ্যাসিড ৫ মিগ্রা . ০.২ মিগ্রা ,
* ঝিঙে লতার শিকড় গরুর দুধে বা ঠান্ডা পানিতে ঘষে সকালবেলা পরপর তিন দিন খেলে পাথরি দূর হয় । ★ তোতো ঝিঙে কৃমি ও শ্লেষ্মা নাশ করে । শূল , গুল্ম ( বায়ু গোলক ) ও অর্শ রোগের পক্ষে উপকারী ।
★ তেতো ঝিঙেতে আছে জোলাপের গুণ অর্থাৎ তেতো ঝিঙে বিরোচক- পেট পরিষ্কার , বমন করায় ।
★ শকনো ঝিঙের গুঁড়ো নস্যের মতো করে নাকে দিলে মাথা ব্যাথা সারে ।


কাঁচকলার মাহাত্ম উপকারিতা
কাঁচকলার মাহাত্ম উপকারিতা


কাঁচকলা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সব্‌জি । এটি পাকা কলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । কাঁচা অবস্থায় গাছ থেকে কাটা বা তোলা হয় । সারাবছর বাজারে একে পাওয়া যায় । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল - সুসা প্যারাডিসিকা । পুষ্টিগুণ : কাঁচকলা অত্যন্ত পুষ্টিকর সব্‌জি । পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী অংশে আছে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ১৪.০ গ্রাম ক্যালসিয়াম ১.৪ গ্রাম ১০ মিগ্রা . ২৯ মিগ্রা , ফসফরাস ফ্যাট- ০.২ গ্রাম , আঁশ ০.৭ গ্রাম পটাশিয়াম ১৯৩ মিগ্রা . লোহা ৬.২৭ মিগ্রা . থায়ামিন .০৫ মিগ্রা . ভিটামিন - ' এ' ৩০ আই , ইউ ৪৮০ মিগ্রা , রিবোফ্লাবিন ভিটাটিমন - ' সি' .০২ মিগ্রা . অক্সালিক অ্যাসিড উপকারিতাঃ ২৪ মিগ্রা .

* একটি কাঁচকলা খোসা সমেত চাক চাক করে কেটে প্রতি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ঐ পানি পান করলে কঠিন আমাশয় রোগ নির্মূল হয় । এইভাবে এক মাস খেতে হবে ।

* পেটের অসুখে , আমাশয় ও রক্ত আমাশয় রোগে কাঁচকলা সেদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে মেখে খেলে রোগ সারে ।

* কলা গাছের শুকনো শেকড় গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে খেলে পিত্ত রোগ সারে । রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগেরও এটি একটি মহৌষধ ।

★ অনেকের মতে কলা গাছের শেকড়ের রসের সঙ্গে ঘি ও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের অসুখ বা মেহ রোগ সারে ।

★ কাঁচকলা শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌন ব্যাধি সারে ও প্রস্রাবের অসুখ সারে ।

* একেবারে কচি কলাপাতা মিহি করে বেটে দুধ মিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতো করে খাওয়ালে মেয়েদের প্রদর রোগে উপকার হয় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন