ওলকপির উপকারিতা,ফুলকপি অপকারিতা,বাঁধাকপি খাওয়ার উপকারিতা

ওলকপির উপকারিতা,ফুলকপি অপকারিতা,বাঁধাকপি খাওয়ার উপকারিতা
ওলকপির উপকারিতা,ফুলকপি অপকারিতা,বাঁধাকপি খাওয়ার উপকারিতা



কপি হল শীতকালের বাজারে প্রধান আকর্ষণ । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল অলিরাসিয়া জাত - বট্রাইটিস । ব্রাসিকা পুষ্টিগুণ : ফুলকপি কিন্তু পুষ্টিগুণে ঠাসা । পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায় প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী অংশে আছে কার্বোহাইড্রেট ৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৩৩ মিগ্রা , প্রোটিন ২.৬ গ্রাম ফসফরাস ৫৭ মিগ্রা , ফ্যাট ০.৬ গ্রাম লোহা ১.৫ মিগ্রা . আঁশ ১.২ গ্রাম পটাশিয়াম ১৩৮ মিগ্রা , ভিটামিন - ' এ' নিকোটিনিক অ্যাসিড- ১ মিগ্রা , ৫১. আই . ইউ সোডিয়াম ৫৩ মিগ্রা , ভিািটমিন - সি' ৫৫ মিগ্রা ,

উপকারিতাঃ ★ কপি স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয় , মধুর , বীর্যবর্ধক , শীতল , গরিষ্ঠ । সহজে হজম হয় , বাত সৃষ্টি করে এবং পিত্ত ও কফ নাশ করে ।
★ গর্ভাশয়ের বল বৃদ্ধি করে ।
★ গাঁটকপি বা ওলকপি রসে মধুর , উষ্ণবীর্য ( উগ্রগুণ সম্পন্ন করা ) , সম্পক ( মলমূত্র বায়ু নিষ্কাশন করে ) , রুচিকর , কফ নাশক , বাতকারক এবং পিপ্ৰেকোপক । * ওলকপি প্রমেহ , শ্বাসের অসুখ , কফ ও কাশিতে উপকার দেয় ।
★ কপির বীজ সারক ( বায়ু মল মুত্র নিষ্কাশনে সাহায্য করে ) , কর্মে উদ্দীপ্ত করে ( দীপন ) , সহজ পাচ্য এবং কৃমিনাশক । * যাঁরা রক্তপিত্ত ( স্কার্ডি ) রোগে ভুগছেন তাঁদের কপি খাওয়া ভাল । * কুন্ঠ রোগের ফোড়ার ওপর বাঁধাকপির পাতা বেঁধে রাখা হয় ।


ওল - ই ধন্বন্তরী অপকারিতা

ওল হল একটি মূলজ সব্‌জি । মাটির নীচের ফসল । ফাল্গুন - চৈত্র মাসে মাঠ থেকে এই ফসল ওঠে । তবে সারা বছর বাজারে এর দেখা মেলে । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- অ্যামরফোকালাস ক্যাম্পানুলাটাস । পুষ্টিগুণ : পুষ্টি বিজ্ঞানীদের কথায় প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী অংশে আছে । কার্বোহাইড্রেট ১৮.৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৫০ মিগ্রা . প্রোটিন ১.২ গ্রাম লোহা ০.৬ মিগ্রা . ফ্যাট ০.১ গ্রাম ফসফরাস ৩৪ মিগ্রা , আঁশ ০.৮ গ্রাম নিকোটিনিক অ্যসিড ০.৭ মিগ্রা . থায়ামিন .০৬ মিগ্রা , ভিটামিন ' এ' ৪৩৪ আই , ইউ উপকারিতাঃ * ওলের ডগার আঠা লাগালে বোলতা বা ভীমরুলের কামড়ের জ্বালা দূর হয় ।

* নিয়মিত ওলের ডালনা বা ওলভাতে বা শুধুই ওলসেদ্ধ খেলে অর্শ অবশ্যই সারবে ।

★ মিষ্টি ওল তীক্ষ্ণ , উষ্ণ , ছেদক ও কষযুক্ত । অর্থাৎ এর স্বাদ তীব্র , শরীর গরম করে এবং ফোঁড়া ফাটিয়ে দেয় , অর্থাৎ ছেদ সৃষ্টি করে ।

★ যে ওল খেলে গলা চুলকায় সেই কুটকুটে বুনো ওলেরও ওষুধ হিসেবে অনেক গুণ আছে । আয়ুর্বেদের মতে বুনো ওল শ্লীপদ ( পায়ের গোদ - হাতির মতো ফোলা পা ) , গোদ , আব , অখিদে , শূলব্যথা , দাঁতের ব্যাথার এবং শোথ রোগের মহৌষধ ।

★ যে ওল খেলে চুলকায় না সেই ভাল জাতের ওল পুরনো পেটের অসুখ সারিয়ে দেয় । কিন্তু চুলকানি হলে ওল না খাওয়াই ভাল ।

★ ওলে আছে বায়ু ও কফ নাশ করবার গুণ । হজমও হয় সহজেই । রক্তপিত্তের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয় । * ওলের ডাঁটা ও ওলের কচি শাক দিয়ে তৈরি তরকারি বা ঘণ্ট শরীরের পক্ষে খুব উপকারী ।

★ বুনো ওল মল রোধ করে , কষায় , হালকা , তীক্ষ্ণ , রুচিকর । কাশি , বমি , বায়ু গোলক বা গুল্মরোগ ও শূল ব্যাথা সারায় , কৃমি নাশ করে ।

★ ওল শুকিয়ে গুঁড়ো করে , ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে খেলে আমাশয় সারে ।

★ ওল টুকরো করে কেটে ঘিয়ে ভেজে খেলে অর্শ সেরে যায় ।

★ ওল খওয়ায় রুচি উৎপন্ন করে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন