নিমপাতার আয়ুর্বেদী ঔষুধ

নিম হল বহুবর্ষজীবী গাছ। এর বিঙ্গানসম্মত নাম হল অ্যাজাডি র্যাকটা ইণ্ডিকা। নিম গাছে ফাল্গুন মাসে কচি পাতার এলেই এর কচি পাতা শাক হিসাবে বেগুনের সাথে ভেজে খাওয়া শুরু হয়।গরম ভাতের সঙ্গে নিম-বেগুন দারুন মানানসই। এছাড়াও কাঁচকলা,পেঁপে,আলু,বেগুন ও সজনে ডাঁটার সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে শুক্তোর ঝোল করেও খেতে পারেন।কচিপাতার তেঁতো স্বাদ থাকায় এটি শরীরের পক্ষে উপকারী। কচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে (প্রতি ১০০ গ্রামে ২৫.৩ মিলিগ্রাম)লোহ থাকায় এটি রক্তাল্পতায় দারুণ কাজ করে। নিমপাতার একটি নিজস্ব জীবাণুনাশক গুণ আছে।হাম বসন্ত ও চর্মরোগ শারাতে নিমপাতা দারুন কার্যকারী। নিমপাতার রক্ত পরিস্কারক গুণ ও রয়েছে। এছাড়াও কৃমি ও পাকস্থলীর সমস্যা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়মিত নিমপাতা শাক হিসাবে খাওয়া অভ্যাস করুন।*উপকারীতাঃ-
বসন্তকালে নিমপাতা ভাজা খেলে হাম বসন্ত ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
পাকস্থলীর গন্ডগোলের জন্যে বদহজম হলে অল্প পরিমাণে নিম গাছের ছাল গরম পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানিটা ছেঁকে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
মাঘ মাসের শেষের দিকে সাতটি নিমপাতা এবং সাতটি মুসুর ডাল একত্রে চিবিয়ে খেলে বসন্ত রোগ হয় না।
নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে নিয়মিত গায়ে মাখলে শরীরের চুলকানি সারে এবং শরীরের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে।
যারা ডায়বেটিসে ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন সকালে আট দশটা নিমপাতা চার পাঁচটা গোলমরিচ সহ চিবিয়ে খেলে এবং খাওয়া দাওয়া সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ মেনে চললে রক্তে শর্করার মাত্রা কমবে।
অল্প পরিমাণে (প্রায় ছয় ফোঁটা) নিমপাতার রস একটু দুধে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হবে-অস্পষ্ট বা আবছা দেখা চোখে উপকার পাওয়া যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন