There are many benefits of Kalmishak - Patilebu I দারুণ উপকারী কলমীশাক-পাতিলেবুর অনেক গুণ

দারুণ উপকারী কলমীশাক

কলমী হল একটি জলজ শাক । এর পাতা সমেত কচিডাল শাক হিসেবে খাওয়া যায় । ডাল হল ফাঁপা ও ওজনে হালকা । মূলতঃ পুকুর , ডোবা ও খাল - বিলেই একে জল । আগাছা হিসেবে দেখা যায় । কলমীর কদর ও চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর চাষও শুরু হয়ে গেছে । ছায়াযুক্ত ভেজা জমিতে এর চাষ করা যায় । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিকা । কলমীর শাক দারুণ উপকারী ।

প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী শাকে আছে

প্রোটিন- ১.৮ গ্রাম , লোহা- ৪.৮ মিগ্রা-) আঁশ ০.৬ গ্রাম, ক্যারোটিন- ৩ মিগ্রা-) ক্যালসিয়াম - ৯০ মিগ্রা-)ভিটামিন ' সি' ৫৮ মিগ্রা-)
ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড়ের গঠনকে মজবুত রাখে । আবার লোহা থাকায় এই শাক খেলে রক্তাল্পতায় ভুগছেন এমন রোগী উপকার পাবেন । ভিটামিন - ‘ সি ’ থাকায় এটি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । আঁশ থাকায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমালায় । কলমীর ভেষজগুণও আছে । কলমীর শাক খেলে দেহে বসন্ত রোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে । মায়েদের স্তনে দুধের পরিমাণ কম থাকলে আহারে কলমী শাক খেতে দিন , দেখবেন এতে স্তনের দুধের উৎপাদন বাড়বে এবং শিশু দুধ পাবে । এছাড়াও হিষ্ট্রিয়া ও মস্তিষ্ক বিচারের মতো রোগের বেলায় কলমী ভীষণ উপকারী ।




পাতিলেবুর অনেক গুণ

 দুই চা চামচ লেবুর রস ও দুই চা - চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যাথা সারে ।
★ লেবু আর পেঁয়াজের রস ঠান্ডা পানিতে গুলে খেলে বদহজমের জন্যে যে পেটের অসুখ হয় তাতে উপকার হয়- এমনকি কলেরাতেও উপকার পাওয়া যায় ।
★ শোওয়ার সময় গরম পানিতে লেবুর রস গুলে খেলে সর্দি সারে । কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায় ।
★ অল্প লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাশি সেরে যায় । হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায় ।
★ লেবুর রস আঙুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয় ।
★ লেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয় ।
★ লেবুর রসে চিনি ও পানি মিশিয়ে এক মাস ধরে রাতে শোয়ার আগে খেলে বহু পুরোনো কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সেরে যায় ।
★ একটি পাকা পাতিলেবুর রসে অল্প মধু মিশিয়ে চাটলে শরীরের স্থূলতা কমে ও শরীরে স্ফূর্তি আসে । ★ পাকা পাতিলেবুর রসে সমপরিমাণ মধু দিয়ে অল্প গরম পানি মিশিয়ে আহারের পর সঙ্গে সঙ্গেই পান করে নিলে এক - দু মাসের মধ্যেই মেদ - বৃদ্ধি কমে যায় এবং শরীরের বেড়ে যাওয়া মেদ ও ঝরে যায় ।
★ লেবুর রসে সর্ষের তেল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন । ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে শিশিতে ভরে রাখুন । কানে দু ফোঁটা করে দিলে পুঁজ পড়া , চুলকানি , কানের ব্যাথা এমনকী বধিরতার উপশম হবে ।
★ লেবুর খোঁসা লেবুর রসে পিষে পুলটিস তৈরী করে গরম করে বাঁধলে বা লেবুর রস ঘষলে নানা কারণে ত্বকের যে দাগ পড়ে তা দূর হয় ।
★ লেবু আর সর্ষের তেল সমপরিমাণে মাথায় লাগিয়ে তারপরে টক দই দিয়ে ঘষে মাথা ধুয়ে ফেললে মাথায় ছোট ছোট ফুস্কুড়ি হওয়া ও মাথার চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়ার উপকার পাওয়া যায় ।
★ লেবুর রস মাথায় ভাল করে ঘষে নিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে চুলের ময়লা দূর হয় এবং মাথার চুলকানি সারে । চুল চকচকে আর পরিষ্কার হয় । এক বালতি গরম বা ঠান্ডা পানিতে একটি লেবুর রস দিয়ে সেই পানিতে গোসল করলে চামড়া নরম ও উজ্জ্বল হয় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন