Fruit treatment for diabetes ! ডায়াবেটিসে ফলের চিকিৎসা ! ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

style="text-align: center;">ডায়াবেটিসে ফলের চিকিৎসা


ডায়াবেটিস বা মধুমেহ মানে প্রস্রাবের সঙ্গে শর্করা ( গ্লুকোজ ) বেরিয়ে যাওয়া । স্ত্রী পুরুষ সকলেরই এই রোগ হতে পারে । এই রোগের মুল উৎস কিন্তু লিভার । লিভার ( যকৃত ) যদি ঠিক মতো কাজ না করে ও অলস হয়ে পড়ে অর্থাৎ মন্থর গতিতে কাজ করে তাহলেই শরীরের গ্লুকোজ রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে পারে ও লিভারে জমতে থাকে । শরীরের বাড়তি গ্লুকোজ প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে যেতে পারে ও লিভারে জমতে থাকে । শরীরের বাড়তি গ্লুকোজ প্রস্রাবের সঙ্গে বেরোতে থাকে । দেখা যায় অকেজো লিভার থেকেই এই অসুখের সূত্রপাত । আবার প্যানক্রিয়াস , হার্ট , ব্রেন এবং কিডনির অসুখ থাকলে এই অসুখের আক্রমণ তাড়াতাড়ি ঘটে ।

প্যানক্রিয়াস ( পাস্থলীর পশ্চাৎবর্তী পিত্তবৎ যন্ত্র ) থেকে একরকম হর্মোন বেরোয় যাকে ইনসুলিন বলে । এই ইনসুলিন শরীরে কমে গেলে শরীরে শর্করাজাতীয় খাদ্যদ্রব্য ধারণ করবার ক্ষমতা কমে যায় ও শেষ পর্যন্ত তা রক্তে মিশে যায় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় । তা হলে দেখা যাচ্ছে শরীরে ইনসুলিন কমে গেলেই ডায়াবেটিস ( বহুমূত্র ) হয় । শরীরের জোর কমতে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে রোগী রোগাও হয়ে যায় । এর থেকে আরও অন্যান্য অসুখও করে । এই রোগে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা হল রোগীকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশান দেওয়া এবং ‘ ডায়াবোলিন ’ ট্যাবলেট খাওয়ানো ।

ফল দিয়ে চিকিৎসার পদ্ধতি ঃ ধৈর্য সহকারে ফল খাওয়ানোর চিকিৎসা করতে পারলে নিশ্চয়ই উপকার পাওয়া যাবে । এক সপ্তাহ ধরে পাকস্থলী ও অন্ত্রের মল জোলাপ খেয়ে পরিষ্কার করে নেওয়ার পর পাকা পেঁপে এবং পেয়ারা খাওয়া শুরু করুন । প্রতিদিন খাওয়া - দাওয়ায় বিধি নিষেধ মানতে হবে যেমন যব ও বেসনের তৈরি রুটি এবং তার সঙ্গে কাঁচা - পেঁপে , করলা ও পটোলের তরকারি ।
কাঁচা পেঁপে ও পাকা পেঁপে দুটিই খুবই বলদায়ক ও উপকারী । পেঁপে খাবার হজমও করায় এবং কোষ্ঠ পরিষ্কারও করে । কাঁচা পেঁপের দুধও খুব উপকারী । এক ফোঁটা কাঁচা পেঁপের দুধ প্রায় তিন শো গ্রেন স্টার্চ ( শর্করা ) হজম করায় । কমলালেবু , আম , আঙুর , ডালিম , জাম এই সব ফলের রস প্রতিদিন সকাল বিকাল খাওয়া খুব দরকার । জামের রস তো এই অসুখে খুবই উপকারী শীতকালে ডালিম , পেয়ারা , চিলগোজা ( শুকনো ফল ) , বর্ষাকালে জাম খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

জামের চিকিৎসা : বর্ষাকালে জাম প্রচুর পাওয়া যায় । এই ফলের উপকারিতা সকলের হয়তো জানা নেই । এই ফলে প্রচুর আয়রন ( লৌহ পদার্থ ) আছে । জামের বিচি শুকিয়ে মিহি পাউডারের মতো গুঁড়ো করে নেবেন । প্রতিদিন এই পাউডার অসুখের গুরুত্ব অনুযায়ী তিন থেকে চার বার করে তিন গ্রাম ( - চা চামচের মতো ) মাত্রায় পানির সঙ্গে মিশিয়ে দশ থেকে পনেরো দিন খেলে অসুখ কমবে এবং রোগী দু মাসে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারে । জামের রস অত্যন্ত উপকারী । ওষুধের দোকানে জামের রসের এক্সট্র্যাক্ট ( সার ) কিনতে পাওয়া যায় । এর ডাক্তারি নাম ‘ জ্যাম্বোলানি এক্সট্র্যাক্ট ’ । দিনে আট দশ ফোঁটা করে তিনবার পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রকৃত উপকার পাওয়া যাবে । এই ওষুধ যতদিন খাওয়া হবে ততদিন বিশেষভাবে খাওয়া - দাওয়ার ধারাকাট করতে হবে । ভাত , আলু , মিষ্টি না খাওয়াই ভাল । রুটি ( যবের বা বেসনের ) মুগের ডাল ও পালং শাক বেশি করে খাবেন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন