style="text-align: center;">কিডনি ও ব্লাডারের অসুখে ফলের চিকিৎসা
আমরা সকলেই জানি ফলের মধ্যে মিনারাল সন্ট বা ধাতুজ লবণ আছে । সেইজন্যে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে নানাবিধ যে সব লবণ বেরিয়ে যায় তা পূরণ করা যায় ফল খেয়ে । পাতিলেবু ও কমলালেবুর রস কিডনি ও ব্লাডারের অসুখের পক্ষে খুবই উপকারী । ওই ফলের রস খেলে ইউরিনারি সিস্টেমে প্রস্রাবের দরুন যে বিষাক্ত ভাব ঘটে সেটা কমে এবং শরীর যে ভেতরে ভেতরে গরম হয়ে ওঠে তাও কমায় ।
কিডনির দুর্বলতায় ফল ঃ তাজা ও শুকনো ফল বিশেষ করে পেস্তা , বাদাম , চিলাগোজা ( এক রকমের শুকনো ফল ) নিয়মিত অল্প অল্প করে খেলে কিডনির দুর্বলতা কমে । পাকা আম এবং অন্যান্য টাটকা ফলও দুর্বল কিডনির পক্ষে উপকারী । কিডনির মতো আকৃতির যে আম বাজারে পাওয়া যায় সেগুলোই খুঁজে নেবেন ।
ব্লাডার ( মূত্রনালী ) বা কিডনিতে পাথর ঃ আঙুরের রস বা আনারসের রস প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশ গ্রাম করে নিয়মিত খেলে এই পাথর থাকলে হয় প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় । তা না হলে গলে যায় ।
ফোঁটা ফোঁটা করে প্রস্রাব হওয়ায় : তিনটি করে বড় কিসমিস যার ভেতরে বিচি আছে যাকে মনক্কাও বলা হয় নিয়ে তার ভেতর থেকে বিচি বের করে নিন । প্রতিটি কিসমিসের মধ্যে একটি করে গোলমরিচ ( কালো রঙের ) ভরে দিন । প্রতি রাতে শোবার সময় তিনটে করে এই কিসমিস খেলে সম্পূর্ন ভাবে এই রোগের নিরাময় হয় । এ ছাড়াও পাকা বেলের কাথ ( মাড়ি ) বের করে পানিতে ভাল করে গুলে নিয়ে সেই পানি অল্প দুধ ও চিনি মিশিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন
‘ খেতে পারলেও এই অস্বস্তি দূর হয় এবং বারে বারে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রস্রাব না হয়ে প্রস্রাব অনেক্ষণ ধরে রাখা যায় ।
প্রস্রাব করতে গেলে খুব কষ্ট হওয়া বা যন্ত্রণাদায়ক প্রস্রাবে : নিয়মিত বাদাম খেলে যন্ত্রণা অনেকটা কমবে । সাতটি বাদাম , সাত দানা ছোট এলাচ ভাল করে গুঁড়ো করে নিয়ে পানিতে মিশিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে এই অসুখ সারতে পারে । এতে যদি তিন গ্রাম করে ধনে গুঁড়ো এবং তিন গ্রাম চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে নেওয়া যায় তাহলে আরও বেশি কার্যকরী হবে । কলাগাছের শেকড়ের , অন্যথায় থোড়ের রস পাঁচ গ্রাম করে প্রতি রাত্রে খোলা আকাশের নীচে রাখতে হবে । সেই রসে এক গ্রাম মতো পাথুরে লবণ মিশিয়ে সকালে পান করলে এই অসুখ সাত দিনের মধ্যে সেরে যাবে ।