টুকিটাকি পরামর্শ
যে মাছের গায়ে আঁশ নেই সেইসব মাছ রাত্রে খাবেন না এতে নানা রকমের রোগ হয় । ইলিশ মাছ পরপর কয়েকদিন খাবেন না এতে যে রোগ ভাল হয়ে গেছে সেই রোগ আবার আক্রমন করতে পারে । সে জন্য ইলিশ মাছ পরপর কয়েকদিন খেতে নেই । পেটকে ঠান্ডা রাখুন , বাসী কুজোর পানিতে দুই চামচ ছোলার ছাঁতু দুই চামচ যবের ছাতু ও ২ টি লাল বাতাসা দিয়ে সকালে খেলে উপকার হয় তবে একঘন্টা চা কিংবা কফি খাবেন না । গরম পানি আর পাতি লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সকালে খেলেও বহু রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । লক্ষ রাখবেন বাচ্চারা ভাত খাবার পর যেন পানি খায় । পানি কম খেলে খারাপ হয়ে যায় । এতে বিকলাই রোগ হয়ে থাকে । বিকলাই রোগের জন্যও বেশী করে পানি খাওয়া উচিত । লক্ষ্য রাখবেন যেন | বাচ্চা রেগে রাত্রে না খেয়ে না ঘুমায় । পরপর কয়েকদিন যদি রাত্রে না খেয়ে ঘুমায় তবে তার বড় রকমের রোগ হলেও হতে পারে । যাদের পলিও হয়েছিল বর্তমানে ভালো হয়ে গেছে , সেই বাচ্চাদের বিশেষ করে নজর দেওয়া উচিত । যে সমস্ত প্রসুতি মায়েদের অম্বল রোগ আছে তারা যেন বুকের দুধ বাচ্চাদের না দেয় । তাতে বাচ্চাদের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে । পাঠার নাড়ীভূড়ী অল্প মসলা দিয়ে বা বিনা মসলায় খেলেও উপকার হয়ে থাকে । বিশেষ করে গ্যাস্টিক রোগীদের জন্য । যাদের প্রসাবে ভীষন দূগন্ধ তাদের প্রচুর | পরিমানে পানি খাওয়া উচিত । যদি সম্ভব হয় একটু পাতিলেবু দিয়ে খেলে আরো ভাল হয় । নাভিতে তেল দিয়ে গোসল করলে ঠোঁট , গোড়ালি ও শরীরের আরও বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেনা । হাঁপানি রুগীদের বিড়ি সিগারেট খাওয়া বন্ধ না করলে অসুবিধা । ভাল | হওয়া অসম্ভব । একটু open Air একান্ত প্রয়োজন । ভোরবেলা খালি পায়ে হাঁটা দরকার । বাচ্চাদের বেশী রং দেওয়া মিষ্টি দেবেন না । রং দেওয়া কমলাভোগ , বোঁদে , মিহিদানা , রঙ্গীন জেলী ইত্যাদিতে কিডনী ভীষন ভাবে ক্ষতি হয় । পাকা বেল বিচি সমেত খেলে ক্ষয় পুরন হয় । কাঁচা বেল পুড়িয়ে খেলে মেয়েদের বিভিন্ন অসুবিধা মুক্ত হয় । আঠা সমেত বেল খেলে পুরুষদের অক্ষমতা দুর করে । যাঁদের ভাত খাবার পরই পায়খানা পায় সে ক্ষেত্রে দুটো করে কাঁঠালী কলা সকালে পানি খাবারের সঙ্গে খেলে উপকার পাওয়া যায় । যাঁদের দিনের মধ্যে বেশী করে ( ৮-১০ ) বার পায়খানা হয় তাদের দুটো করে কলা চিড়ে ভাজা সহ সকালের সব খাবারের সাথে খেতে হবে । তাতে ভীষন উপকার পাবেন এবং সূর্য উঠার আগে গোসল সেরে নিলে বহুরোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় । যেমন - হাইব্রাড প্রেসার , সুগার , লো - প্রেসার ইত্যাদি । কলাপাতায় ভাত খেলে কমপক্ষে ২৮ টি রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায় । অবশ্যই কলাপাতা মেঝেতে পেতে আসন করে বসে ভাত খাবেন , চেয়ারে টেবিলে নয় । কলাপাতায় গরম গরম খাবার খেলেই বেশী উপকার । দাড়িয়ে প্রসাব করা উচিত নয় , অন্তত দিনের শুরুতে এবং শেষে অর্থাৎ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শোবার পূর্বে অবশ্যই বসে প্রসাব করবেন । সূর্যের দিকে মুখ করে কখনও প্রসাব করা উচিত নয় । এতে পুরুষের শুক্র দোষ দেখা দিতে পারে । যারা পেটের রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন , তারা সিম এবং ডিম কখনই খাবেন না । ভাঙ্গা ডিম কখনই খাবেন না । এতে সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি করে । যাদের কালো পায়খানা হয় তাঁদের জন্য ডিম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । খাই খাই ভাবে কখনই চেহারা উন্নতি হয়না । দিবানিদ্রা শরীরে পক্ষে ক্ষতিকর । অসুস্থ রোগীদের কথা স্বতন্ত্র । দিবানিদ্রা অম্বল ডেকে আনে । যাদের অম্বল রোগ আছে খাবার খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট পর পানি খাবেন । পানি যতটা বেশী খেতে পারবেন ততই ভালো । সকালে মাটির পাত্রে জোয়ান ভিজিয়ে রেখে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার ২০ মিনিট পর সেই পানি খেলে উপকার পাবেন । প্রচন্ড অম্বল হলে- আখের গুড় এবং বিটনুনের সরবত খেলে উপকার পাবেন । স্যালাড ছাড়া ভাত রুটি খাবেন না । স্যালাড তৈরী করবেন বিট , গাজর , শশা , মূলো , পিয়াজ , টম্যাটো এবং লেবুর রস দিয়ে । কিন্তু অম্বল থাকলে লেবুর রস দেবেন না ।
গরুর দুধ , ছানা , কাঁচা ডিম , আন , শাপলা , কচুর লতি , চালকুমড়ো , থোড় , মোচা , কাঁচা কলা , ডুমুর , সজনে ডাঁটা , ছাঁচি পেঁয়াজ , টকদই , মানকচু এবং ওল । রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে একচামচ মধু খাবেন । শুধু ডাল কখনও খাবেন না । সাথে একটু কিছু সবজি অবশ্যই দিবেন । যেমন - উচ্চে , করলা , কাঁচাকলা , পেঁপে , পটল , সজনে ডাটা , ঝিঙ্গে , লাউ , মুলো ইত্যাদি । ডালের মাঝে একটাই ডাল খাবেনা না আর সেইটা হলো খেসারীর ডাল । তাতে রোগ বাড়ায় । সিমে আমাশয় বৃদ্ধি পায় । যাদের ব্লাডসুগার আছে ভোর বেলায় খালি পেটে হাটা অবশ্য করনীয় । পরে দশবারোটা চাল এবং দশবারোটা তুলসীপাতা বাসী পানিসহ সেবন অথবা কাঁচা লঙ্কা ফালি করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি খেলেও উপকার পাবেন । কাঁচা ছোলা ভেজান পানিও খেতে পারেন । মাটির অথবা পাথরের পাত্রে ভেজালেই উপকার বেশী । যাদের শরীর থেকে প্রচুর ক্ষয় হয়েছে এবং খুব অল্প বয়স হতে এই ক্ষয় শুরু হয়েছে তাদের উচিত দৈনিক একটা করে দেশি টমেটো , ( হাইব্রীড না ) বিনের তরকারী , মূলাশাক , একচামচ করে মধু বা কাঁঠালী কলা , টকদই , পাট শাক , ঢেড়স ডালে দিয়ে খেলেও উপকার হয় । খেজুর খেয়ে দুধ বা আঁখ রোট খেয়ে বাদান খেয়ে দুধ খেলেও উপকার হয়ে থাকে । ৪০ বয়স হলে আটা চেলে খাবেন না । বেশী উপকার হয় আটা না চেলে খেলেই । প্রত্যেক ৭ দিন অন্তর একদিন দুধ আর খই খাবেন । দুধ , খই , আখের গুড় , ভীষন উপকারী । রুটি দুধে ভিজিয়ে খেলে বেশ উপকার হয়ে থাকে । শক্ত ভাত অর্শরোগীরা খাবেন না । দৈনিক মলত্যাগের পর যদি নারকেল তেল ব্যবহার করেন তাহলে ভাল হয়ে যাবে । ভাল নারকেল তেল ব্যবহার করবেন । হাইপ্রেসার রোগীরা দৈনিক খুব সকালে হাটাহাটি করুন তাহলে উপকার পাবেন । নদী বা পুকুরে ডুব দিয়ে গোসল করলে উপকার হয় । বিশ্রামের প্রয়োজন বেশী লো - প্রেসার রোগীদের । না খেয়ে একদম থাকবে না । আর পরিশ্রম ছাড়াও হজম হওয়া সম্ভব নয় এবং পরিশ্রম ব্যতিত বেশি করে খাওয়া দাওয়া করলে অম্বল রোগ হবে । ঘাড় ব্যথা , পিঠে ব্যথা পেট ফাঁপা ছ্যাবড়া ইত্যাদি । হবেই হবে । দিনের বেলা ঘুমাবেন না । রাতে আহারের পর আধঘন্টা হাটাহাটি করে এরপর ঘুমাতে যাবেন । আর যদি পায়খানার রং কালো হয়ে গেলে ডিম আর খাবেন না । খেয়াল রাখবেন , বেশী ভাজাভুজি খাবেন না । প্রচন্ড অম্বল হয় যাদের তারা স্যালাড খাবেন । প্রায় সময় টক জাতীয় খাবার খাবেন । এসিড যেমন ময়লা পরিস্কার করে টক তেমনি পেট পরিস্কার করে । যেমন চালতার টক , ছোট আমড়া , বিলাতী আমড়া , করমচার টক , জলপাইয়ের টক , টক দই প্রভৃতি । বাত যাদের আছে তারা মেঝেতে ঘুমাবেন না এবং ডিম আর ভেড়ার মাংস খাবেন না , দৈনিক গোসলের পূর্বে সকল জয়েন্টে তেল মালিশ করে গোসল করবেন । যেমন ধরুন হাঁটু , কোমর , গোঁড়ালি বা যেখানে বাতের ব্যথা আছে সেইখানে । সকল মানুষের উচিত কম করে হলেও ২/৩ মাইল হাঁটা । আর যাঁরা দোকানদার মানুষ বা চেয়ারে বসে কাজ - কর্ম করে থাকেন তাদের জন্য হাঁটা প্রয়োজন । সব বাচ্চাদের স্যালাড খেতে দিবেন তাতে হাঁটার শক্তি ঠিক থাকে ।
য়াদের গরুর দুধ সহ্য হয় না তাঁরা ছানা তৈরী করে তারপর খাবেন , মুরগীর মাংস ব্যতীত অন্য কোন মাংস খাবেন না । পারলে দুপুরে ভাত এবং রুটি মিশিয়ে খাবেন । রাত্রে ভাত খাবেন না । দুপুরে খাওয়ার পর এক খিলি সাদা পান সর্বদা খেলে উপকার পাওয়া যাবে । জর্দা , শুটকা , কিমাম , দোক্তা ভাজা সুপারী বর্জন করুন । পানের সাথে খয়ের খাবেন , এতে চর্ম রোগের উপকার হবে । পানের সাথে চুন খাবেন এতে অতিরিক্ত কৃমি নাশ হয় । অতিরিক্ত মদ্যপান ও রাত্রি জাগরন নিষিদ্ধ । ভারী বয়সে অত্যাধিক খাওয়া হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর । যাঁদের হাঁপানি রোগ আছে- ( ১ ) বেশী কথা না বলা ভাল ( ২ ) কাঁকড়া খাবেন । ( ৩ ) ঠাণ্ডা গরম পানি মিশিয়ে দুপুর ১২ টার মধ্যে গোসল • করবেন । প্রথম শুরু করবেন পা থেকে ।