নাকের পলিপাস এর ঘরোয়া চিকিৎসা,মুখে ঘা হলে করণীয়,কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,অনিদ্রা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়, Home remedies for nasal polyps, home remedies for ear infections

অনিদ্রা
লক্ষণ ঃ অনিদ্রা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্য রোগের উপসর্গ মাত্র । মানসিক উত্তেজনা , মস্তিষ্কের রক্তাধিক্য , উত্তেজক দ্রব্য সেবন , অতিভোজন বা উপবাস রোগের কারণ ।
চিকিৎসাঃ ঔষনী শাকের রস দু'চামচ করে খেতে হবে ভোরবেলা খালি পেটে পরপর ১৫ দিন ।
পথ্য ঃ উত্তেজক দ্রব্য যেমন , মাংস , ডিম , পেঁয়াজ , রসুন ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ । ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খাওয়া উচিত ।

স্নায়ুপীড়া
লক্ষণঃ অতিরিক্ত পরিশ্রম , অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় ঋতুস্রাব , দীর্ঘকাল যাবাত মাদকদ্রব্য সেবন , আঘাত লাগা , ঠান্ডা লাগা , অজীর্ণতা প্রভৃতি কারণে স্নায়ু আক্রান্ত হয় । এবং আক্রান্ত হলে সুঁচ ফুটিবার মতো যন্ত্রণা অথবা আক্রান্ত স্থান অবশ বোধ এই রোগের লক্ষণ ।
চিকিৎসা ঃ ১ কোয়া রসুন রোজ ১ টা করে খেতে হবে আহারের সময় ১৫ দিন । এছাড়া রসুন তেল করে সামান্য গরম অবস্থায় মালিশ করতে হবে প্রতিদিন দু'বার করে ।
পথ্য ঃ হাঁসের ডিম , বোয়াল মাছ ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ ।

মেরুমজ্জার পীড়া
লক্ষণ ঃ শিরদাঁড়ার বেদনা , অধিক রক্তক্ষয় , হৃদপিণ্ডের দুর্বলতা , কোমরে বেদনা প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ ।
চিকিৎসা ঃ 8 দুর্ববার রস ২৫ গ্রান , হেলেঞ্জার রস ২৫ গ্রাম , অর্জুনছাল গুড়ো ১ চামচ , আধপোয়া গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে ৯ টার মধ্যে একবার করে ১ মাস ।
পথ্য ঃ রোজ ভাতের সঙ্গে ১ কোয়া রসুন বিচিয়ে খেতে হবে ।

চোখ ওঠা
লক্ষণ ঃ চোখে ধূলা পড়া , রোদ , ঠাণ্ডা , ধোঁয়া লাগা প্রভৃতি কারণে এই রোগ হয় । চোখ লাল , চোখে ব্যথা , চুলকানো , জ্বালা করা , চোখ জুড়ে যাওয়া প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ ।
চিকিৎসা ঃ হাতিশুড় পাতার রস ১ ফোঁটা করে চোখে দিতে হবে ।
পথ্য ঃ হেলেঞ্জা শাক ভাতে সিদ্ধ করে খেতে হবে ।

আঞ্জনি 
লক্ষণ ঃ ঠান্ডা লাগা , দুর্বলতা , ধাতু দোষ প্রভৃতি কারণে চোখের পাতার ওপরে বা নীচে যে বেদনাযুক্ত ফুঙ্কুরী হয় তাকে আঞ্জনি বলে ।
চিকিৎসা ঃ গরম পানিতে ১ চিমটি নুন ফেলে চোখের পাতায় সেঁক দিতে হবে দিনে দু'বার । এছাড়া হাতিশুঁড় পাতার রস দিনে দু'বার ১ ফোঁটা করে দিতে হবে ।
পথ্য ঃ ২ চামচ করে হেলেঞ্জার রস ৫০ গ্রাম গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে ।

দৃষ্টিশক্তি হ্রাস
লক্ষণঃ স্নায়ুবিক দুর্বলতা , অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবন , অল্প আলোতে পড়াশুনা করা , জোরালো আলোর দিকে বেশিক্ষণ চেয়ে থাকা প্রভৃতি কারণে চোখের শক্তি কমে যায় ।
চিকিৎসা ঃ ২ চামচ করে হেলেঞ্জার রস ৫০ গ্রাম গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে । প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ।
পথ্য ঃ হেলো শাক ডাতে সিদ্ধ করে এবং কামী শাক খেতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে ।

মাম্পস্
লক্ষণ ঃ কানের সামনের দিক ও নীচের দিক ফোলে , জ্বর হয় , চিবোতে কষ্ট হয় । গিলতে কষ্ট হয় । 8 চিকিৎসা ঃ খুব ঘন করে রক্তচন্দন ঘযে কানের নীচে থেকে গাল পর্যন্ত লাগাতে হবে দিনে দু'বার করে ৭ দিন ।
পথ্য ঃ টক জাতীয় খাদ্য , ঠান্ডা জাতীয় খাদ্য খাওয়া নিষেধ ।

কানে যন্ত্রণা
লক্ষণ ঃ ঠাণ্ডা লাগা , কানে চোট লাগা প্রভৃতি কারণে কানে যন্ত্রণা , জ্বর প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয় । চিকিৎসা : রসুন ও পিঁয়াজের রস সমপরিমাণে মিশিয়ে সামান্য গরম করে দু'ফোটা করে দিনে ২ বার দিতে হবে ।
পথ্য ঃ টক জাতীয় খাদ্য খাওয়া নিষেধ ।

কান পাকা
লক্ষণ ঃ ঠাণ্ডা লাগা কানে পানি ঢুকা প্রভৃতি কারণে এই রোগ হয় ।
চিকিৎসাঃ রসুনের রস সামান্য গরম করে দু'ফোটা করে দিনে ৩ বার দিতে হবে ভালো না হওয়া পর্যন্ত । 

নাকের রোগ
লক্ষণ ঃ শ্লেষ্মাজনিত কারণে এবং চোট লাগার কারণে নাক ফোলা , নাকে যন্ত্রণা , নাক দিয়ে রক্তপড়া , নাকে ঘা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয় ।
চিকিৎসা ঃ সামান্য পেঁয়াজের রস এবং সামান্য রসুনের রস মিশিয়ে মিশ্রণ ৩/৪ বার নাকে টানতে হবে । এছাড়া দুর্বার রস চায়ের কাপের আধকাপ পরিমাণ দিনে দু'বার খেতে হবে । তার ভেতরটা লবণপানিতে ( ১ কাপ পানিতে ১ চিমটি ) দিনে দু'বার ধুয়ে ফেলতে হবে ।
পথ্য ঃ টক জাতীয় এবং ঠাণ্ডা খাদ্য খাওয়া নিষেধ ।

মুখ ফোলা
লক্ষণঃ ঠান্ডা লেগে গাল ফোলে যন্ত্রণা হয় ।
চিকিৎসা ঃ রক্তচন্দ্রন ঘন করে ঘষে গালে লাগাতে হবে দিনে ২ বার ।
পথ্য ঃ নরম এবং তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত । টক খাওয়া নিষেধ ।

মুখ ও জিভের ঘা
লক্ষণ ঃ পেটের গণ্ডগোল এবং ভিটামিন B - 2 এর অভাবে জিভে ও মুখে লাল লাল ঘা ও ফুস্কবি মতো ঘা হয় ।
চিকিৎসা  ঃ গরম পানিতে সামান্য লবণ , ফিটকিরি , কর্পূর মিশিয়ে মুখ কুলকুচ করে ধুয়ে ফেলতে হবে দিনে তিনবার । সঙ্গে সঙ্গে পেটের রোগের চিকিৎসা করতে হবে ।
পথ্য ঃ ভিটামিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত ।

হাঁপানি
লক্ষণ ঃ পিতামাতার রোগ , রক্ত দুষিত হওয়া , শ্লেষ্মা , অজীর্ণতা প্রভৃতি কারণে হাঁপানি হয় । শ্বাসকষ্ট , গলা সাঁই সাঁই করা , বুক চাপা , কাশতে কাশতে বহু কষ্টে কফ উঠরে একটু আরাম প্রধান লক্ষণ । চিকিৎসাঃসকালে সামান্য টিফিনের পর চ্যবনপ্রাস ১৫ গ্রাম চুষে খেতে হবে । সকাল ১০ টায় বাসকারিষ্ট ২ চামচ খেতে হবে । রাত্রে আহারের পর চন্দ্রামৃত রস বড়ি ১ টা আদার রস ও মধুসহ খেতে হবে । ঔষধগুলো যে কোন কবিরাজী দোকানে পাওয়া যাবে । হাঁপানির সঙ্গে কোষ্ঠবদ্ধতার জন্য হরিতকি খণ্ড গরম পানির সঙ্গে খেতে হবে প্রতিদিন রাত্রে ।
পথ্য ঃ শ্লেষ্মা উৎপাদনকারী খাদ্য খাওয়া নিষেধ ।

নিউমোনিয়া
লক্ষণ ঃ ঋতু পরিবর্তন , হঠাৎ ঘাম বন্ধ হওয়া , ঠান্ডা লাগা প্রভৃতি এই রোগের কারণ । জ্বর , শ্বাসকষ্ট , বুক ব্যথা , প্রথমে শুকনো কাশি , পরে রক্তাক্ত কফ ওঠা , মাথা যন্ত্রণা , উষ্ণ শ্বাস - প্রশ্বাস , প্রকা তৃষ্ণা , অস্থিরতা প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ ।
চিকিৎসা ঃ হাঁপানি রোগের জন্য নির্দিষ্ট ঔষধ ১ মাস খেতে হবে । এছাড়া প্রতিদিন সকালে শিউলী পাতার রস ২৫ গ্রাম পরিমাণ ( চায়ের কাপের আধকাপ ) খেতে হবে ১ মাস ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন