অম্ল বা অ্যাসিড,ইনফ্লুয়েঞ্জা ঔষধ,সাধারণ জ্বরের লক্ষন,ম্যালেরিয়া জ্বরের চিকিৎসা,কালাজ্বরের ঔষধ কি

ইনফ্লুয়েঞ্জা
লক্ষণ ঃ জ্বর বা জ্বরভাব , মাথায় শ্লেষ্মাজনিত বেদনা , চোখ ও নাক দিয়ে পানি । পড়া , গা ব্যথা , অরুচি , বমি , দুর্বলতা , হাঁচি , কাশি প্রভৃতি এই রোগের প্রধান লক্ষণ ।
চিকিৎসা ঃ ৫ গ্রাম ঝালপানের রস , ৫ গ্রাম আদার রস , ১ চামচ মধু , ১ টা মহালক্ষীবিলাস বড়ি ( যে কোন কবিরাজী ঔষধের দোকানে পাওয়া যায় ) একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে পরপর তিনদিন 
পথ্য ঃ জ্বর বেশী থাকলে ভাতের বদলে আটার রুটি খেতে হবে ।

সাধারণ জ্বর
লক্ষণঃ ঠাণ্ডা লাগা , হঠাৎ ঘাম বন্ধ হওয়া , অত্যাধিক পরিশ্রম করা , আঘাত লাগা , রাত্রি জাগা , গোসল - খাওয়ার অনিয়ম , হঠাৎ ঋতু পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে এই জ্বর হয় । প্রথমে শীত , কাঁপুনি ও গা ব্যথা সহ জ্বর দেখা দেয় । কখনো শীত , কখনো গরম , গা জ্বালা , অস্থিরতা , পিপাসা মাথা ব্যথা , কোষ্ঠকাঠিন্য বা উদরাময় , নাড়ী দ্রুত চলা , ঘনঘন শ্বাসপ্রশ্বাস , অরুচি , ময়লা জিহ্বা প্রভৃতি এই রোগের প্রধান
লক্ষণ ।
চিকিৎসা ঃ ৫ গ্রাম শিউলী পাতার রস , ৫ গ্রাম তুলসী পাতার রস , ১ চামচ মধুসহ সামান্য মকরধ্বজ ( যে কোন কবিরাজী দোকানে পাওয়া যায় ) মিলিয়ে খেতে হবে দিনে তিনবার করে তিন দিন ।
পথ্য ঃ ডাল বা সজি দিয়ে আটার রুটি এবং দুধ খেতে হবে ।

ম্যালেরিয়া জ্বর -
লক্ষণ - ৪ হঠাৎ করে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে আবার হঠাৎ করে ছাড়ে । শরীর ব্যথা , মাথা দপদপ্ করা , তৃষ্ণা , কখনো কাশি , কখনো প্রচণ্ড ঘাম প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয় । অ্যানোফিলিস নামক মশার কামড়ে এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে । ৩০
চিকিৎসা ঃ ১০ গ্রাম চিরতা , ১০ গ্রাম গুলঞ্জ , ১০ গ্রাম কট্‌কী ১০ গ্রাম ক্ষেতাপড়া , ১০ গ্রাম তুলসীপাতা , ৫ গ্রাম বাসকপাতা ১ কেজি পানিতে সিদ্ধ করতে হবে । ২০০ করে মধু মিশিয়ে খেতে হবে । ৭ দিন । গ্রাম হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে রেখে দিতে হবে । রোজ সকাল ও সন্ধায় আধকাপ
পথ্য ঃ জ্বর থাকলে ভাত না খাওয়া উচিত । রুটি খাওয়া ভালো ।

POx বা বসন্ত -
লক্ষণ ঃ বর্তমানে ক্ষতিকারক বসন্তরোগ উপমহাদেশে নেই । যা আছে তা খুব সাধার কাত্তরোগ । সর্বাঙ্গে বেদনা , শীত , কাঁপুনিসহ জ্বর হয় । দুতিন দিন পরে সারা গায়ে গুলি বাহির হয় । ৫/৬ দিনের মধ্যে ঐ গুটিতে পানি জমে এবং পুঁজ হয় ও শরীরের তাপ ১০০ থেকে ১০৭ পর্যন্ত হয় । ৯/১০ দিনের মধ্যে গুটিগুলো শুকোতে শুরু করে ।
চিকিৎসা : গুটি দেখা দেওয়া মাত্র মেথি ভিজানো পানি ২০ চনচ করে দিনে ২০ বার খেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত ৩ টি পুরো প্রকাশ না পায় । এ ছাড়া হামজুরের মতোঔষধ তৈরী করে খেতে হবে । সকালে ৪ চামচ সন্ধ্যায় ৪ চামচ করে যতদিন না রোগ ভালো হয় ।
পথ্য  ঃ মিছরী ভিজানো পানি , আখের রস সহ বিভিন্ন ঠান্ডা খাবার , দুধ খাওয়াতে হবে । ভালো না হওয়া পর্যন্ত তেল , ঘি খাওয়া নিষেধ ।

কালাজ্বর -
লক্ষণ  ঃ বর্ধিত প্লীহা , অনিয়মিত জ্বর , রক্ত স্বল্পতা এই রোগের বিশেষ লক্ষণ ।
কোষ্ঠকাঠিন্য -
লক্ষণঃ অতিরিক্ত চা বা কফি , পান , গুরুপাক দ্রব্য ভোজন , ঠিকমতো হজম না হওয়া , কায়িক পরিশ্রম না করা , অনিদ্রা , কৃমি , রাতজাগা , প্রভৃতি কারণে মল ঠিকমতো পরিষ্কারভাবে শরীর থেকে নির্গত হয় না । ফলে অক্ষুধা , মাথা যন্ত্রণা , পেটের মধ্যে ভুটভাট্ করা অম্ল প্রভৃতি রোগ দেখা দেয় । চিকিৎসা ঃ হরিতকি ৫০ গ্রাম , আমলক্ ি ৫০ গ্রাম , বয়রা ৫০ গ্রাম , সোনা পাতা ২৫ গ্রাম , বেলচূর্ণ ২৫ গ্রাম , বিটলবন ২৫ গ্রাম , জোয়ান ২৫ গ্রাম যবক্ষার ১০ গ্রাম , আদাঁঠ ৫ গ্রাম , পিপুল ৫ গ্রাম নিন । দ্রব্যগুলোকে রোদে শুকিয়ে ভালো করে চুর্ন করে কাপড়ে ছেঁকে শিশিতে ভরে রেখে দিন । বাজ দুবেলা ভাত খাবার পর ১/২ চামচ খেয়ে ঠাণ্ডা পানি খেতে হবে । বেশী কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে রাত্রে গরম পানি খেতে হবে ।
( দ্রব্যগুলো দশকর্মা ভাঙারে পাবেন । )
পথ্য ঃ লঘু অথচ পুষ্টিকর খাদ্য , শাক অবশ্যই খাওয়া উচিত । ঘি , তেলেভাজা বিভিন্ন খাদ্য খাওয়া উচিত হবে না ।

অম্ল বা অ্যাসিড -
লক্ষণ ঃ কোষ্ঠকাঠিন্য , অজীর্ণ প্রভৃতি কারণে পেটে বায়ু জমা হয় এবং ওপর দিকে ঠেলে সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে নানা শারিরীক অসুবিধার সৃষ্টি করে ।
চিকিৎস - রাত্রিবেলা কাঁচের গ্লাসে । ১ গ্লাস উষ্ণ পানিতে ৫/৬ টুকরো শুকনো আমলকী ভিজিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন । সকালে খালি পেটে পানিটা ছেঁকে খেয়ে নিন অথবা ২৫০ গ্রাম পানিতে ৫ গ্রাম মৌরী ভাল করে ফুটিয়ে ৫০ গ্রাম হলে নামিয়ে নিন ঠাণ্ডা হলে ভাল করে ছেঁকে অর্ধেকটা সকালে এবং অর্ধেকটা বিকালে খান । এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য প্রদত্ত ফর্মুলায় ঔষধ তৈরী করে দুবেলা আহারের পর ১ চামচ করে খেতে হবে যতদিন না রোগ নির্মূলভাবে সেরে যায় ।
পথ্য ঃ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তেল , ঘি , মশলা সহ বিভিন্ন গুরুপাক দ্রব্য খাওয়া নিষেধ । প্রতিদিন গরমভাতের সঙ্গে পেঁপে সিদ্ধ অবশ্যই খাওয়া উচিত ।

আনসার -
লক্ষণ ঃ দীর্ঘদিন পেটে গ্যাস জমে থাকার জন্য অস্ত্রে এবং ডিওডেনামে ঘা হয়ে যায় । একেই আলসার বলে । পেটে ব্যথা , জ্বালা , অরুচি , বমি প্রভৃতি উপসর্গ দেখ দেয় । এ রোগ ধরা পড়া মাত্রই নিচের ফর্মুলার ঔষধ তৈরী করে খেতে হবে একটানা ২ মাস । বহু পুরানো রোগীর ক্ষেত্রে এবং অপারেশন হওয়া রোগীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
চিকিৎসা  ঃ ২ চামচ আমপাতার রস , ২ চামচ দুর্বার রস , ১ চামচ নিমপাতার রস , ১ চামচ আদার রস , ১ চামচ হেলেঞ্জার রস , ২ চামচ কালমেঘের রস , ১ চামচ থানকুনি পাতার রস একসাথে মিশিয়ে একটা কাপে নিতে হবে । এবার একটা পরিস্কার লোহা গরম করে এ রসের মধ্যে ডুবিয়ে তুলে নিতে হবে । এই ঔষধ সকালে খালিপেটে খেতে হবে প্রতিদিন । যতদিন রোগ না সারে ততদিন খেতে হবে ।
পথ্য  ঃ পেঁপে সিদ্ধ , কাঁচকলা সিদ্ধ , হেলেঞ্জা সিদ্ধ দিয়ে নরম ভাত খেতে হবে । পেট কখনো খালি রাখা ঠিক নয় । সমস্ত গুরুপাক দ্রব্য , ঘি তেল মশলা , ভাজা ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ ।


উকুন ও চিকিৎসা ও ৫/৬ টা পান থেতো করে রস বের করে নিয়ে সেই রস রাত্রে শোবার সময় মাথায় ভালো করে ম্যাসেজ করতে হবে । পরপর দুদিন । এরপর মাথা শ্যাম্পু করতে হবে ।
খুসকী চিকিৎসা : ২ গ্রাম কুণ্ডু ভষ্ম ২৫ গ্রাম সরষের তেলে মিশিয়ে বুসকীর জায়গায় লাগাতে হবে পর পর কয়েকদিন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন