হাই ব্লাড প্রেসারে লাউ-
লাউ মূলতঃ গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুর সব্জি । তবুও শীতকালেও লাউ হয় । লম্বা ও গোল— এই দুই আকারের লাউ বাজারে পাওয়া যায় । এই বিজ্ঞানসম্মত নাম হল লাজেনারিয়া ভালগারিস ।
পুষ্টিগুণ : পুষ্টিগুণের নিরিখে প্রতি ১০০ গ্রাম লাউ এর মধ্যে আছে -
কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২০ মিগ্রা . প্রোটিন ০.২ গ্রাম. ফসফরাস ১০ মিগ্রা . পটাশিয়াম- ৮৭ মিগ্রা. ফ্যাট- ০.১ গ্রাম , আঁশ- ০.৬ গ্রাম ভিটামিন - ' সি' - ৬ মিগ্রা . . নিকোটিনিক অ্যাসিড ০.২ মিগ্রা .
উপকারিতা :
লাউ - এর মধ্যে খাদ্যোপাদানগুলি তুলনামূলকভাবে কম থাকে । এতে ভিটামিন- ‘ এ ’ থাকে না । পুষ্টির অভাব মেটাতে মাঝে মধ্যে অন্য সব্জি না পাওয়া গেলে লাউ খেতে পারেন । এতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগীর পক্ষে লাউ অত্যন্ত উপকারী । লাউ হল ভেষজগুণ সম্পন্ন সবজি । গরমকালে লাউ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে এবং দেহে পানির ঘাটতি মেটাবে । লাউ হল বলকারক সজি । আলসার , কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অর্শ রোগে যাঁরা ভুগছেন তাঁরা লাউ খেলে উপাকার পাবেন ।
সাবধানতা : আবার যাঁদের ঠাণ্ডা ও কফেরধাত আছে তাঁরা লাউ এড়িয়ে চলুন ।
ব্যবহার পদ্ধতি : লাউ সেদ্ধ , তরকারি , শুক্তো অথবা ডালের সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন ।
সুস্থ থাকতে বকফুল-
বকফুল ’ হল এর প্রচলিত নাম । এমন নাম করণের পিছনে এর ফুলের গঠন ও আকার দায়ী । ফুলের রঙ সাদা । না ফোটা ফুলের ডগা দেখতে অবিকল বকের ঠোঁটের মতো । আর এজন্যই এমন নামকরণ । আসল নাম হল- ‘ অগথি ' । বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- সেস্ বানিয়া গ্রানডিফ্লোরা ।
পুষ্টিগুণ : বকফুলের গাছ থেকে আমরা মুলতঃ দুটি অংশকে সব্জি হিসাবে ব্যবহার করি । এ দুটি হল- এর ফুল এবং অন্যটি হল শুটি বা ফল । তবে ফুল এবং ফলের খাদ্যগুন কিন্তু আলাদা । এখানে এদের সৃষ্টিগুণের কথা আলাদা করেই উল্লেখ করলাম । প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী অংশে আছে ।
খাদ্যোপাদান, ফুল, শুঁটি/ ফল
প্রোটিন ১ গ্রাম ৮.৭ গ্রাম) চর্বি বা ফ্যাট ০.৫ গ্রাম ১.৪ গ্রাম) খনিজ পদার্থ ০.৪ গ্রাম -৩.১ গ্রাম) আশ ০.৮ গ্রাম ২.২ গ্রাম) কার্বোহাইড্রেট ৪.৪ গ্রাম ১১.৮ গ্রাম) ক্যালসিয়াম ৯ মিগ্রা. ৪০০ মিগ্রা) ফসফরাস ৫ মিগ্রা.৩.৯ মিগ্রা) ৫.০ মিগ্রা , ভিটামিন ' সি' ৫৮ মিগ্রা) আয়োডিন ২ মিগ্রা .
উপকারিতাঃ এর কচি গুঁটি সব্জি হিসাবে বেশ উপকারী । দেহের বৃদ্ধি ও পরিস্ফুরনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদান এতে অধিক পরিমাণে মজুত আছে । শুঁটিতে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি দাঁত ও হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে । আবার ভিটামিন - ‘ সি ’ থাকায় এটি দেহে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।রক্তাল্পতার মতো সমস্যায় নিয়মিত ফুল ও শুঁটি সব্জি হিসাবে খেলে উপকার পাবেন । তুলনামূলকভাবে অনেক কম খরচেই এটি পেতে পারেন । আবার ফুল ও শুঁটিতে থাকা আঁশ মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত লোকের শরীরের মধ্যে গ্লুকোজ সহনশীল বাড়িয়ে দেয় এবং খাদ্যনালীতে ক্যান্সার রোগের আক্রমণ ঠেকায় । বনফুল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । এর শুটি বা ফল হল ‘ আয়োডিন ' নামক খনিজ উপাদানের অন্যতম প্রধান উৎস । আয়োডিন থাকার জন্য গলগণ্ড রোগের আক্রমণ ঠেকায় ।