কুণ্ঠ ও ক্ষয়রোগে কি I কোষ্ঠকাঠিন্য কি খেলে ভালো হয় I বিডিঅলপোস্ট

হরিতকি

কোষ্ঠ কাঠিন্যে- ১০ গ্রাম হরিতকির গুড়ো গরম পানির সঙ্গে রাত্রে শোবার সময় খেলে সকালে পায়খানা পরিষ্কার হয় ।

গা বমি ভাব— ছোট একটা হরিতকির টুকরো সামান্য মধুসহ খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ।

শূলরোগে- ১০ গ্রাম হরিতকির গুড়ো এবং ১০ গ্রাম আখের গুড় মিশিয়ে খেতে হবে ।

পাথুরিরোগে- ১০/১২ টি হরিতকির বীচি দুধের সঙ্গে সিদ্ধ করে ঐ দুধ হেঁকে নিয়ে রোজ একবার করে ১৫ দিন খেতে হবে ।

মুত্রকৃচ্ছ- ১ চামচ হরিতকি গুড়ো , ১ চামচ হিরে রস , ১ চামচ চিনি একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে ২/৩ বার । আঙ্গুলহাড়া সামান্য হরিতর্কি ঘথা এবং সামান্য চন্দন ঘষা একত্রে মিশিয়ে লাগাতে হবে ।

বহেড়া

কৃমিতে- ১০ গ্রাম বহেড়ার শাঁস সামান্য ডালিমের রস সহ ৭ দিন খেলে কৃমি ভালো হয় ।

স্বরভঙ্গ - কয়েক টুকরো বহেড়া ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে । ঐ টুকরো মুখে রাখলে স্বরভঙ্গ আরোগ্য হয় ।

শ্বাস - কাশ- ১ চামচ বহেড়ার গুঁড়ো ১ চামচ মধুসহ খেলে শ্বাস - কাশ উপশম হয় ।

চুল ওঠা- ২/৩ টি বহেড়া ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে সামান্য নারকেল বাটা ও সামান্য মেথি বাটা মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে রোজ একবার করে ১৫ দিন ।

শিউলী

বাতরোগ- ১৫/২০ টি শিউলী পাতা ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ঐ পানি প্রতিদিন ২ বার খেতে হবে সকালে সন্ধ্যায় ।

শ্লেষ্মায়- শিউলী গাছের শেকড়ের ছাল সামান্য পরিমাণ এবং আধখানা পান । একত্রে চিবিয়ে খেলে উপকার হয় ।

ম্যালেরিয়া- আদা ও শিউলীপাতা সমপরিমানে নিয়ে থেঁতো করে আধকাপ করে রস প্রতিদিন দুবার করে খেতে হবে ৭ থেকে ১০ দিন । হয় । পিত্তজ্বরে- প্রতিদিন ১০ গ্রাম শিউলী পাতার রস সেবন করলে পিত্তজ্বর আরোগ্য হয়।



শিমুল

শুক্রক্ষয়ে-  চারা শিমূলগাছের শেকড় ১ গ্রাম পরিমান , মধুর সঙ্গে বেটে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ১৫ দিন ।

ব্রণ - শিমূলের ছাল বেটে ব্রণের ওপর লাগালে ব্রণ সেরে যায় । রোজ ১ বার করে ৭ দিন ।

রক্তপিত্ত- শিমূল ফুলের গুঁড়ো আধাচামচ পরিমাণ ১ চামচ মধুসহ খেতে হবে ১০ দিন ।

মেহরোগ- ৫ গ্রাম পরিমাণ চারা শিমুলের শিকড় প্রতিদিন চিবিয়ে খেতে হবে ।

হেলেঞ্জা ( হিফে ) রক্তের দোষে- প্রতিদিন গরম ভাতের সঙ্গে হিঝোশাক সিদ্ধ করে খেতে হবে ১ মাস । মেহ প্রমেহ ১০০ গ্রাম কাঁচা দুধ এবং ১০ গ্রাম হিফের রস একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে ১ মাস ।

দৃষ্টিশক্তি হ্রাস প্রতিদিন সকালে ২ চামচ হেলেঞ্জার রস গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে ১ মাস ।

পাথরকুটি পাতলা পায়খানা- ২ টি পাথরকুচি পাতা লবণ সহ চিবিয়ে খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় । পিঠপাথুরী- প্রতিদিন আধকাপ করে পাথরকুচি পাতার রস খেতে হবে ।

কেটে গেলে- ১ টা পাথরকুচি পাতা থেতো করে কাটা জায়গায় লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্তপড়া বন্ধ হয় । অর্শের বলিতে পাথরকুচির পাতা বেটে অর্শের বলির ওপর দিলে যন্ত্রণা কমে ।

বাসক

পুরনো শ্বাস - কাশ- ১ গ্রাম পরিমান বাসকছালের গুঁড়ো ১ চামচ মধুসহ খেতে হবে রোজ ১ বার করে ১ মাস ।

প্রমেহরোগে- ১ গ্রাম পরিমাণ বাসকছালের গুঁড়ো প্রতিদিন ১ বার করে খেতে হবে ১৫ দিন ।

কুণ্ঠ ও ক্ষয়রোগে- ১০ গ্রাম বাসকছাল ও পাতা ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ঐ পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে । রোজ ১ বার করে ১ মাস ।

কাশিতে- ২৫ গ্রাম মিছরী , পিপুল ৪/৫ , লবঙ্গ ৭ / ৮ টি , গোল মরিচ ১০ টি , কষ্টিকারী ৩ গ্রাম এবং ১০/১২ টি কচি বাসকপাতা ৫০০ গ্রাম পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ হলে নামিয়ে নিয়ে ছেঁকে খেতে হবে । সূধনী শাক অনিদ্রায় আধ কাপ ওষনীশাকের রস মধুসহ সেবন করতে হবে । অথবা রোজ ভাতের সঙ্গে শাক রান্না করে খেতে হবে ।


মেহ - প্রমেহ- ১ কাপ কাঁচা দুধে ৪ চামচ কলমী শাকের রস মিশিয়ে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে ১ মাস । হাম - বসন্ত- হাম বা বসন্তের গুটি বের না হলে বলমী শাকের ঝোল খেতে হবে ২/৩ দিন ।

কালমেঘ

লিডারের দোষে- ২৫ গ্রাম করে কালমেঘের রস প্রতিদিন সকালে খালিপেটে খেতে হবে ১ মাস । শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতা ও কৃমিতে- ৪/৫ কালমেঘ পাতার রস মধুসহ প্রতিদিন সকালে খেতে হবে । ১৫ দিন ।

ম্যালেরিয়া- ১০ গ্রাম কালমেঘের পাতা ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ হলে নামিয়ে নিতে হবে । এবার ঐ পানি সকালে ও সন্ধায় আধকাপ করে খেতে হবে ৭ দিন ।

কাঁটা নটে

রক্তপিত্তে— কাঁটানটের শিকড় আধইঞ্চি পরিমান সামান্য মধুসহ চিবিয়ে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ৭ দিন ।

রক্ত ও শ্বেতপ্রদরে- ১ ইঞ্চি পরিমান কাঁটানটের মূল সামান্য আখের গুড়সহ চিবিয়ে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ১৫ দিন ।

অর্শ- কাঁটানটের শিকড় বেটে অর্শের বলির ওপর প্রলেপ দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয় ।

রক্ত আমাশয় ১০ গ্রাম পরিমান কাঁটানটের শিকড় ও ৩ টি গোলমরিচ বেটে খেতে হবে প্রতিদিন ১ বার করে ৭ দিন ।

তেলাকুচা

হাত - পা জ্বালা- তেলাকুচার পাতা হাতে ও পায়ে ঘষলে জ্বালা নিবারিত হয় ।

খোস - পাচড়া , ছুলি প্রতিদিন দু চামচ করে তেলাকুচার রস সকালে খেতে হবে এবং কিছু রস আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে ।

সাদা আমাশয় - ২ চামচ তেলাকুচা পাতার রস রোজ সকালে । ৭ দিন ।

রক্ত আমাশয়- ১০ গ্রাম তেলাকুচা পাতার রস এবং ১০ গ্রাম আখের গুড় একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে ২/৩ বার , ৭ দিন

থানকুনি

রক্তদোষে- রোজ সকালে খালিপেটে ৪ চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে ৭ দিন ।

মেহ রোগ এবং কাশিতে- ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনি সহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায় ।

আমাশয়- প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেতে হবে ১ মাস ।

পুনর্নবা ( সেপুনে )

শোথ রোগে- পুনর্নবার শিকড় ১ ইঞ্চি পরিমান ২/৩ টি গোলমরিচ সহ বেটে খেতে হবে প্রতিদিন ১ বার করে ৭ দিন ।

পাণ্ডু ও রক্তপ্রদর- শ্বেত পুনর্নবার রস আধকাপ ১ চামচ মধুসহ প্রতিদিন সকালে খেতে হবে । ১ মাস । বেরিবেরি রোগে- প্রতিদিন সকালে আধকাপ করে পুনর্নবার রস খেতে হবে ১ মাস ।


























কোষ্ঠকাঠিন্য কি খেলে ভালো হয়,অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়
মূত্রকৃচ্ছতা কি,ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা,কুণ্ঠ ও ক্ষয়রোগে কি,লিভার সমস্যা দূর করার উপায়
সাদা স্রাব বন্ধ করার উপায়,তেলাকুচা পাতার অপকারিতা
إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم