আমবাতের ঔষধ,বসন্ত রোগের ঔষধ
আদা ঃ অথর্ব বেভদ বৈদ্যক কল্পে আদার সম্বন্ধে বলা হয়েছে , আদা আমাদের শরীরের তিনটি অগ্নিবল বাড়ায় । এই তিনটি অগ্নি হচ্ছে- কায়াগ্নি , অত্তরাগ্নি বহিরাগ্নি । শুকনো আদার অপর নাম বিশ্ব । বৈদিক যুগে আদাকে বলা হয়েছে ভক্ষণকারী । অর্থাৎ আদার রসে খাদ্য বস্তু জীর্ণ হয় । খাদ্যটি সুপাচ্য হয় । তাই আমরা মাংসে আদার ব্যবহার করে থাকি । আদার বোটানিকাল নাম জিঞ্জার অকিসেনেল রকস । কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া আদায় আছে- লবণ , পটাশিয়াম , ভোলাটাইল অয়েল ইত্যাদি ।
বিভিন্ন রোগে আদার ব্যবহার : সর্দিজ্বরে হঠাৎ করে ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি জ্বরে ১ চামচ আদার রস , ১ চামচ মধু , ১ চামচ তুলসী পাতার রস , এবং ২ চামচ শিউলি ফুলের পাতার রস মিশিয়ে খেতে হবে রোজ দুবার করে তিনদিন ।
অক্ষুধা ঃ খাবার বেশ কিছুক্ষণ আগে সৈন্ধব লবন দিয়ে একটু আদা চিবিয়ে খেলে রুচি ফিরবে এবং ক্ষিধে বাড়বে । গলায় কফ জমে থাকলে পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
আমবাত ঃ ১ চামচ আদার রস ও ১০ গ্রাম পুরানো আখের গুড় মিশিয়ে খেতে হবে রোজ সকালে একবার করে ১ মাস।
বসন্ত ঃ ১ চামচ আদার রস ও ১ চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে দুবার খেলেই বসন্তের গুটি বের হয়ে যাবে ।
জটিল আমাশয় ঃ আদা শুকিয়ে গুড়ো করে ১ গ্রাম পরিমান , এক কাপ ইষৎ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে দুবার করে ভাল না হওয়া পর্যন্ত ।
হিক্কা বা হেঁচকি ঃ এক কাপ ছাগলের দুধের সঙ্গে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে , খেলে সঙ্গে সঙ্গে হেঁচকি কমবে ।