ফোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা,রক্ত সল্পতার সমাধান,মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায়,হঠাৎ চুল পড়ার কারণ

ফোঁড়া লক্ষণ ঃ নানা কারণে রক্ত দুষণ হেতু এই রোগ হয় ।

চিকিৎসা ঃ ‘ অ্যান্টিব্যাক্‌ট্রিন অয়েল ’ লাগাতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না ফোঁড়া পেকে ফেটে যায় ।
পথ্য ঃ টক এবং এলার্জী সৃষ্টিকারী খাদ্য খাওয়া নিষেধ ।

ছুলি চিকিৎসা ঃ ১০ গ্রাম কচি নিমপাতা , ১০ গ্রাম , সোহাগার খৈ , ১০ গ্রাম সাদা চন্দন ঘষা , ১০ গ্রাম হরিতাল একসাথে বেটে এর সঙ্গে শাঁখের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে দিনে দু'বার করে ৭ দিন ।
পোড়া নারাঙ্গা লক্ষণ ঃ প্রবল জ্বর , শীত , কাঁপুনি , বমি , মাথা যন্ত্রণা , প্রলাপ , উদরাময় , অবসন্নতা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায় । পরে চামড়ায় যন্ত্রণা হয়ে ফোস্কা বের হয় । ফোস্কা বের হলে যন্ত্রণা কমে যায়।
চিকিৎসা ঃ নারাঙ্গা ফল চন্দনের মতো ঘষে আক্রান্ত জায়গায় প্রলেপ দিলে আরোগ্য হয় ( ' নারাঙ্গা ' মুদি দোকানে পাওয়া যায় । )
পথ্য ঃ টক জাতীয় খাদ্য , অতিরিক্ত তেল , ঘি , তেলেভাজা খাওয়া নিষেধ ।

বাতব্যাধি -
লক্ষণ : ঠান্ডা লাগা , হাঁসের ডিম , টক বা ঠান্ডা দ্রব্য খ " ওয়া , যকৃতের দোষ , উপদংশাদি দোষ , পারদের অপব্যবহার প্রভৃতি কারণে বাত হয়ে থাকে । এই রোগে শরীরের সন্ধিস্থল আক্রান্ত হয় । প্রথমে সন্ধিস্থল লাল ও বেদনামুক্ত হয়ে জ্বর হয় । পরে কাঁপুনি , ঘাম , কোষ্ঠকাঠিন্য , মাথাযন্ত্রণা , তৃষ্ণা , প্রলাপ , হার্টের গণ্ডগোল , অপরিষ্কার জিত প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয় । তরুণ রোগ ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে না সারলে পুরাতন আকার ধারণ করে । রোগ কঠিন হলে বুকে যন্ত্রণা শ্বাম্প্রশ্বাসে কষ্ট দেখা দেয় ।
চিকিৎসা - দুবেলা গরম ভাতের সঙ্গে ১ কোয়া রসুন বাটা ও সামান্য ঘি মেখে খেতে হবে ১৫ দিন । ৫ গ্রাম হরিতকি গুড়ো করে গরম পানির সঙ্গে খেতে হবে প্রত্যহ সকালে ও সন্ধ্যায় ১৫ দিন ।

পুরাতন বাত -
লক্ষণ  ঃ তরুণ বাতের প্রায় সকল লক্ষণই থাকে । বেদনা একটু কম থাকে , কিন্তু আক্রান্ত স্থানে রস জমে ফুলে উঠে এবং সন্ধিস্থল শক্তভাব ধারণ করে ।
চিকিৎসা : ৫ গ্রাম আদা , ৫ গ্রাম , রসুন , ৫ গ্রাম কালোজিরা , ঘি দিয়ে ভেজে গরমভাতের সঙ্গে খেতে হবে ১৫ দিন রোজ দু'বার করে ।
পথ্য  ঃ হাঁসের ডিম , বোয়াল মাছ খাওয়া উচিত নয় ।

আড়ষ্ট ঘাড় -
লক্ষণ : ইহাও এক প্রকার বাত । ব্যপা ও যন্ত্রণাহেতু রোগীর ঘাড় নাড়িবার ক্ষমতা থাকে না । সাধারণতঃ বামদিকে আক্রমণ বেশি হয় ।
চিকিৎসা ও ২৫ গ্রাম সরষের তেলে ৫ গ্রাম নিমের ফল আগুনে ভালো করে ফুটিয়ে মালিস করতে হবে গরম গরম ।
পথ্য  ঃ রোজ একটি করে এককোয়া রসুন গরমভাতের সঙ্গে খেতে পারলে ভালো হয় ।

যত্নাকাশ -
লক্ষণ ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে বাস , অতিরিক্ত পরিশ্রম , পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব , দুশ্চিন্তা , বহু সন্তান প্রসব প্রভৃতি কারণে শারিরীক দুর্বলতা থেকে সহজে ক্ষয়কাশ আক্রমনের সম্ভাবনা ঘটে । ক্ষুধামান্দ্য , হুসখুসে কাশি , শ্বাসকষ্ট , বুকে ব্যথা , নাড়ীর দ্রুতগতি , দুপুর বা বিকেলে জ্বর , স্বরভঙ্গ , রাত্রে অতিরিক্ত ঘাম , দুর্বলতা প্রকাশ পায় । পরে হলদে কফ ওঠে । কখনো কখনো কফ সহ রক্ত উঠে । এ রোগ সাধারণতঃ যা বা টি.বি. রোগের পূর্ব লক্ষণ ।
চিকিৎসাঃ রুদ্রাক্ষ চন্দনের মতো করে ঘষে ২০ গ্রাম পরিমাণ , ৫ গ্রাম তুলসী অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ টি.বি হাসপাতালে দেখানো উচিত । মঞ্জুরী , ৫০ গ্রাম পানিতে ফুটিয়ে রোজ দু'বার করে খেতে হবে ১৫ দিন। প্রয়োজনে অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ টি.বি. হাসপাতালে দেখানো উচিত ।

এনিমিয়া বা রক্ত শূন্যতা -
লক্ষণঃ অতিরিক্ত রজঃ বা ঋতুস্রাব , ক্রয় , বহুদিন যাবৎ ম্যালেরিয়া বা প্লীহা রোগে ভোগা , প্রভৃতি কারণে রক্তে আয়রণ বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দেয় । চোখ মুখ নাদা ও ফ্যাকাশে , শরীর পাণ্ডুবর্ণ , অরুচি , দুর্বলতা প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ ।
পথ্য এ রোগের প্রধান ঔষধ ।
চিকিৎসা : কুলেখাড়া বা কুলপী শাকের রস ২৫ গ্রাম করে খেতে হবে রোজ ভোরবেলা খালি পেটে অন্ততঃ ১ মাস ।
পথ্য ঃ সমস্ত রকমের পুষ্টিকর খাদ্য , দুধ , ফলমূল খেতে হবে । পথ্যই এ রোগের মূল ঔষধ ।

মাথা ধরা -
লক্ষণ ঃ মস্তকে রক্তাধিক্য , ঠান্ডা লাগা , শ্লেষ্মা , বাত , কোষ্ঠকাঠিন্য , স্নায়ুবিক দুর্বরতা , রাতজাগা , অজীর্ণতা , নেশা করা প্রভৃতি কারণে মাথা ধরে । এ রোগ প্রায়ই অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র ।
চিকিৎসাঃ দু'ফোটা রসুনের রস নস্যির মতো নাকে টানলে মাথা ধরা আরোগ্য হয় । সাথে সাথে মূল রোগের চিকিৎসা করতে হবে ।

মাথা ঘোরা -
লক্ষণ ঃ মাথাঘোরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যরোগের লক্ষণ মাত্র । দুর্বলতা , শ্লেষ্মা , পেটে গ্যাস প্রভৃতি কারণে মাথা ঘোরা রোগ হয় ।

স্মৃতি হ্রাস -
লক্ষণ ঃ দেহের রস - রক্তের অভাব , মাথার আঘাত , সর্দি , মাথায় রক্তের আধিক্য এবং বয়সের চাপে , অত্যধিক মানসিক চিন্তায় স্মরণ শক্তি হ্রাস পায় ।
চিকিৎসা : ২ চামচ ব্রাহ্মীশাকের রস , ১ চামচ হেলেণ্ডার রস , ১ চামচ কলমী শাকের রস , ১ চামচ চিনি , ৫০ গ্রাম ছাগল বা গরুর দুধ একত্রে মিশিয়ে রোজ সকাল বেলা খেতে হবে ১ মাস ।
পথ্য : স্বাস্থ্যসম্মত , পুষ্টিকর খাদ্য এবং বিশ্রাম প্রধান পথা

চুল উঠা লক্ষণ ঃ পাকাশয়ের গন্ডগোল , দুর্বলতা , প্রচুর ঘাম , কুইনাইনের অপব্যবহার , দুঃখ , যন্ত্রণা , মানসিক চিন্তা প্রভৃতি কারণে চুল উঠে ।
চিকিৎসা ঃ ১ চামচ কালমেঘের রস , ১ চামচ নিমপাতার রস , ১ চামচ কলমী শাকের রস একত্রে মিশিয়ে রোজ ভোরবেলা খালিপেটে খেতে হবে ১ মাস । এছাড়া ১০০ গ্রাম নারকেল তেলে ৫০ গ্রাম কাঁচা আমলকী ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে শিশিতে ভরে রাখুন । রোজ গোসলের আগে ভালো করে মাথায় মাখুন । অল্প বয়সে চুল পাকলে করবী গাছের মূলের ছাল দুধের সঙ্গে বেটে মাথায় মাখতে হবে প্রত্যেক মাসে ৭ দিন । রিঠা ফল দিয়ে মাথা পরিষ্কার করতে হবে ।
পথ্য ঃ পিত্ত ঠান্ডা রাখে এরকম খাদ্য খেতে হবে ।

দাদ -
লক্ষণ ঃ আক্রান্ত স্থানে গোল গোল চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে । চুলকায় কষ পড়ে ।
চিকিৎসা ঃ একটি পাথরের বাটির মধ্যে নারকেলের মালা রেখে আগুন দিয়ে পোড়াতে হবে । মালাটির জ্বলন্ত অবস্থায় অন্য একটি পাথরবাটি দিয়ে ঢাকা দিতে হবে । আধণ্টা পরে ঢাকা তুললে দেখা যাবে পাথরের বাটিতে কালো কালো তেলের মতো পদার্থ । আক্রান্ত স্থানে ঐ তেল লাগাতে হবে দিনে ১ বার করে ৩ দিন । অথবা চুলকানি ও পাঁচড়ার ফর্মুলায় মলম তৈরি করে লাগাতে হবে ।
পথ্য ঃ টক জাতীয় খাদ্য , তেলেভাজা , ঘি জাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ । সাবান ব্যবহার নিষেধ 
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন