মেয়েদের ঋতুস্রাবের চিকিৎসা | ঋতুস্রাব হলে কি করনীয় | ঘন ঘন মাসিক হলে কি করণীয়

অনিয়মিতি ঋতু লক্ষণ : স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মহিলারা প্রতি ২৮ দিন অন্তর অন্তর ঋতুস্রাব হয় যদি শরীর তাদেব ভাল থাকে । নিয়মিত সময়ে রক্তস্রাবনা হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পূর্বে রক্তস্রাব হওয়া বা ২/৪ মাস বন্ধ থাকার পর হঠাৎ রক্তস্রাব হয় বা অনিয়মিত সময়ে প্রচুর রক্তস্রাব হওয়া এ রোগের লক্ষণ । চিকিৎসা : ২ / ৩ টি জবা ফুলের কুঁড়ি পানি দিয়ে বেটে পুরনো আখের গুড় দিয়ে খেতে হবে ঋতুর কয়দিন সকালে । পথ্য : পুষ্টিকর এবং ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিত ।

সুতিকা লক্ষণ  কোন কারণে জরায়ু দুষিত হলে প্রসবের ৩/৪ দিন পরে সুতিকা জ্বর হয় । শীত , কম্প , প্রবল , জ্বর , পিপাসা , শিরপীড়া , ঘাম বা স্তনের দুধ বন্ধ হওয়ার প্রধান লক্ষণ । চিকিৎসা ঃ ওঁঠ ৫ গ্রাম , চিতামুল ৫ গ্রাম , পিপুলমুল ৫ গ্রাম , চৈ ৫ গ্রাম এবং পিপুল ৫ গ্রাম একত্রে নিয়ে ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে নিতে হবে । এই ঔষধ সকালে খেতে হবে প্রতিদিন ।

য়োনীর ব্যথায়- ২ চামচ হেলেঞ্জা বা হিঞ্চের রস , ২ চামচ কাঁচা আমলকীর রস একত্রে মিশিয়ে রোজ ১ বার করে খেতে হবে ১০/১২ দিন ।

স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধি : ২ গ্রাম অনন্তমূল ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ঐ পানি প্রতিদিন ২ বার করে ৪/৫ দিন খেতে হবে । ধাতুদুর্বলতায় ঃ ১ গ্রাম অনন্তমূল বেটে ১ চামচ মধুসহ রোজ সকালে টিফিনের পর খেতে হবে ১৫ দিন ।


অল্প ঋতুস্রাব:✏
লক্ষণ:-ও শরীরে রত্তের ঘাটতির জন্য অল্প অল্প রক্তস্রাব হওয়া এ রােগের লক্ষণ । ' চিকিৎসা ও ১০ গ্রাম হিং , ১০ গ্রাম ওঁঠৰ্ণ , ১০ গ্রাম মুসার একত্রে মিশিয়ে পানি । দিয়ে মেখে ছােট ছােট বড়ি বানিয়ে রােদের মাঝে শুকিয়ে নিতে হইবে । দৈনিক সকালে ১টি বড়ি পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে । ধ্য ৪ হরমােন এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খেতে হবে ।

বেশী ঋতুস্রাব:✏
লক্ষণ:-খুব বেশি ইন্দ্রিয় চালনা , উত্তেজক দ্রব্য পান - ভােজন , পুনঃ পুনঃ গর্ভসঞ্চার , জরায়ু পীড়া প্রভৃতি কারণে এ রােগ হয় । ঋতুকালে প্রচুর পরিমাণে রক্তস্রাব , ৪ / ৫ দিনের মধ্যে ঋতুস্রাব বন্ধ না হওয়া বা ১ মাসে দুই বা তার বেশি ঋতুস্রাব হওয়াকে বেশি ঋতুস্রাব বলে থাকে । শিরঃরােগ , ক্ষুধামান্দ্য , পিঠে বা কোমরে বেদনা , পায়ের পাতা ঠাণ্ডা , শীতৰােধ প্রভৃতি প্রধান লক্ষণ । | চিকিৎসা ? আমলকী চূর্ণ ১০ গ্রাম রসান চূর্ণ ১০ গ্রাম , হরিতকি চুর্ণ ১০ গ্রাম একত্রে মিশিয়ে দিনে প্রত্যেক দিন এর থেকে ৫ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে চালের পানি ও ১ চামচ মধুসহ খেতে হবে । | 
পথ্য  ঃ গরম ও উত্তেজক দ্রব্য খাওয়া নিষেধ । রােজ সকালে ২ চামচ করে দুর্বার । রস খাওয়া উচিত ।

প্রস্রবারে কণ্ঠে : ২ গ্রাম অর্জুন ছাল সিদ্ধ করতে হবে ১ কাপ ছাগলের দুধ , ১ কাপ পানিতে । ঐ পানি একটু একটু করে কয়েকবার পান করলে প্রস্রাবের কষ্ট দুর হয় ।

স্তনদুগ্ধ বৃদ্ধি : শিশুদের জন্য মায়ের স্তনে প্রচুর দুধ থাকার প্রয়োজন । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় , প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ থাকে না , আর থাকলেও খুব কম থাকে । এই অবস্থায় তুলসীপাতার রস এবং মকাই পাতার রস প্রত্যেকটি ১০ মিলিলিটার এবং অশ্বগন্ধা রস ও শাঁস ৫ মি.লি. ও মধু মিশিয়ে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতিকে খেতে দিলে স্তনদুগ্ধ বৃদ্ধি হয় ।

অধিক রজঃস্রাব  কিছু কিছু স্ত্রীলোকের মাসে ১০/১২ দিন রজঃস্রাব হয়ে থাকে কিংবা কিছু আগে পিছে হয় । এইরকম হলে তুলসীগাছের মূল তুলে চূর্ণ করে নিতে হবে । সাদা এবং মিঠে পানের সঙ্গে সেই চূর্ণ আধ চামচ দিয়ে খেতে হবে । এই রোগে তুরসী এবং পান একসঙ্গেই খেতে হবে । এইভাবে প্রায় একমাস খেলে অবশ্যই রোগ আরোগ্য হয় ।

কলমী শাক স্তনের দুধ বাড়াতে- রোজ় ভাতের সঙ্গে কলমী শাক খেতে হবে ১ মাস । মেহ - প্রমেহ- ১ কাপ কাঁচা দুধে ৪ চামচ কলমী শাকের রস মিশিয়ে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে ১ মাস ।

সাদাস্রাব- ২ চামচ দুর্বার রস আধগ্লাস চালধোয়া পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে রোজ একবার করে সকালের টিফিনের পর । ১৫/২০ দিনের মধ্যে উপকার পাওয়া যায় ।




Related tag...

পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করনীয়
পিরিয়ড ২০ দিনের বেশি হলে
১৫ দিন পর পর মাসিক হওয়ার কারণ কি
পিরিয়ড কম হওয়ার কারণ
মহিলাদের মাসিক হওয়ার কারণ
তাড়াতাড়ি মাসিক হওয়ার ঘরোয়া উপায়
إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم