নানা কারণে নাকের অসুখ হয। ধোঁয়া,ধুলো,অর্থাৎ দূষিত পরিবেশ,রোদে বেশি ঘুরলে বা বেশি ঝাল মশলাদার খাবার খেলে নাকের নানাবিধ অসুখের সঙ্গে নাক,গলা কান দিয়ে রক্ত পড়ার কথা প্রায় শোনা যায়। ডাক্তরি চিকিৎসায় যদি উপশম না হয তাহলে ফল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করলে অনেক সময় ম্যাজিকের মতো কাজ হয়। টাটকা আমলকির রস বের করে নিয়ে একটি গ্লাসে রেখে থিতিয়ে যেতে দিন। তারপরে উপর থেকে পরিস্কার স্বচ্ছ রসটা একটা ড্রপারে ভরে নিয়ে রোগীর ২ নাকে তিন চার ফোঁটা করে দিকে হবে। এই রকমভাবে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ৩/৪ বার করে দিয়ে রোগীকে বুক ভরে শ্বাস নিতে বলবেন। এতে নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এ ছাড়া ডালিমের পাতার রসও যদি এইভাবে ড্রপার দিয়ে নাকে দেওয়া যায় তাহলে রক্ত পড়া বন্ধ হতে পারে। পাতিলেবুর রস নাকের মধ্যে যদি ইন্জেকশনের সিরিজ দিযে দেওয়া যায় তাতে নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং সাধারণত দ্বিতীয়বার দেওয়ার আর প্রয়োজন হবে না। ঠিক একই ভাবে টাটকা আঙুলের রস প্রয়োগেও নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। আমলকি ঘিয়ে ভেজে নিয়ে তারপরে গুঁড়ো করে নিন। একটু ভাল করে ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে কাদা কাদা করে রোগীর কপালে প্রলেপ দিন। তাহলেও নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
✴মুখের ভিতরের ও গলার অসুখে ফল✳
পাতিলেবু,কমলালেবু,আনারস মুখের দুর্গন্ধ,মাড়ির ব্যাথা,পাইয়োরিয়া টনসিলাইটিস,খেতে না পারা,ডিপথিরিয়া ইত্যাদিতে চমৎকার ভাবে কাজ করে।
✴মুখের দুর্গন্ধ✳
মুখের দুর্গন্ধ থাকলে কোনও সভা সমিতিতে যাওয়া তো দূরের কথা বন্ধু-বান্ধব মহলেও যেতে অসুবিধা হয়। প্রতিদিন যদি সকালে,বিকালে এক ভাগ পাতিলেবুর রস ও ২ ভাগ গোলাপ পানি মিশিয়ে গার্গল করা যায় তাহলে মুখের দুর্গন্ধ তো দূর হবেই,মাড়ির ঘা,পাইয়োরিয়ারও উপশম হবে এবং মুখের ভেতরটা খুব পরিস্কার থাকবে।
✴বিশেষ কথা✳
সুস্থ ব্যক্তিও যদি মাঝে মাঝে শুধু পাতিলেবুর রস দিয়ে গরগরাইযা কুলি করে তাহলে তিনি অসুখের হাত থেকে নিস্তার পেতে পারেন।