What to do in case of jaundice - Dhanvantari fruit to cure head disease I জন্ডিস হলে করনীয় কি-মাথার রোগ সারাতে ধন্বন্তরি ফল

জন্ডিস হলে করনীয় কি :

লিভারে অপ্রয়োজনীয় পিত্তরস জমা হতে থাকলে প্রস্রাব হলুদ রঙের হয় , চোখও আস্তে আস্তে ঘোলাটে হতে আরম্ভ করে । লিতারের ব্যথা হয় এবং খুব কঠিন জনডিসে নখ থেকে আরম্ভ করে সারা শরীর ক্রমশ হলুদ হয়ে যেতে থাকে । এমন কি রোগী চোখেও সব কিছু হলুদ দেখতে আরম্ভ করে । ঘন ঘন বমি হওয়া ও অনেক ক্ষেত্রে জনডিসের একটা লক্ষণ । সাধারণ ভাবে ডাক্তাররা মাছ মাংস বা ফ্যাট আছে এরকম খাবার খেতে দেন না কারণ তাতে লিভারে চোট পড়বে । আখের রস খাওয়ার কথা আমরা সকলেই জানি । এ ছাড়া বাদাম ( কাশ্মিরি ) খুবই উপকার করে যদিও বাদামে ফ্যাট আছে । আগের দিন রাত্রে আটটা বাদাম , পাঁচটা ছোট এলাচ ও দুটো খেজুর অনেকটা পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে । পরের দিন সকালবেলা বাদামের খোসা ছাড়িয়ে খেজুরের আঁটি বের করে , ছোট এলাচের খোসা ছাড়িয়ে এক সঙ্গে ভাল করে পিষে নিন । এই মিশ্রণ খানিকটা চিনি ও টাটকা সামান্য মাখনে মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিন । কয়েক দিন খেলেই অব্যর্থ ফল পাওয়া যাবে । পাতিলেবু লিভারের সব অসুখেই উপকার দেয় । রোগীকে পাতিলেবুর রস পানিতে মিশিয়ে দিনে অনেকবার করে খেতে দিন । এছাড়া ডালিমের রস তাতে যদি একটা পরিষ্কার লোহা ( যেমন চাবি ) সারা রাত ডুবিয়ে রেখে পরের দিন সকালবেলা তাতে একটু পানি ও চিনি মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ানো যায় তাতেও লিভার তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে এবং রোগীর মুখের হলুদ ভাব কাটবে ।

মাথার রোগ সারাতে ধন্বন্তরি ফল


মস্তিষ্ক , পেশি এবং কোষের নানান অসুখে তাজা এবং শুকনো ফল খুবই উপকারী । বিশেষ করে বাদাম মস্তিষ্কের দুর্বলতা দূর করে এবং সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়িয়ে তোলে । কাজেই বাদাম খেলে স্নায়ুর রোগেরও উপশম হয় । দিনে একটা করে বাদাম খাওয়া থেকে শুরু করে প্রতিদিন একটা করে বাদাম খাওয়া বাড়ালে তিরিশ দিনে তিরিশটা পর্যন্ত বাদাম খাওয়া যায় । তার পরের মাসে ঠিক একই নিয়মে প্রতিদিন একটা করে বাদাম কমিয়ে ফেলতে হয়- যাতে দ্বিতীয় মাসের শেষ দিনে বাদামের সংখ্যা একটিতে এসে দাঁড়ায় । প্রতিদিন বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে , তারপরে উপরের লাল খোসাটা ছাড়িয়ে নিয়ে চন্দন কাঠে পিষে নিয়ে খেতে হবে । এই অভ্যাস চালাতে থাকলে মস্তিষ্ক বা ব্রেনের নানান অসুখ কমে যাবে । আখরোটের সঙ্গে যদি শুকনো ডুমুর বা আঞ্জির এবং কিসমিস সব মিলিয়ে ২৫ গ্রাম মতো খাওয়া যায় তাহলে তা আরও বেশি কার্যকরী হবে । মোট কথা যে সব ফলে ফসফরিক উপাদান আছে যেমন বাদাম , ডুমুর , আঙুর , খেজুর , আপেল , কমলালেবু , ইত্যাদি ফল ব্রেনের কোষ ও টিস্যু আর শক্তিশালী করে তোলে । বিশেষ করে আপেল তো টনিকের মতো কাজ করে । পাকা আঙুর , নাশপাতি , কলা , ডুমুর বিশেষ করে টাটকা টক আপেল ব্রেনের জন্যে খুবই উপকারী । ফসফরাস ছাড়াও এই সব ফলে শর্করা থাকায় এগুলি শরীরে শক্তি জোগায় এবং ঝিমিয়ে থাকা মস্তিষ্ক বা ব্রেনকে তাজা করে তোলে । পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে যাঁরা মাথার কাজ করেন তাঁদের জন্যে আঙুর খুবই উপকারী । এক কাপ করে আঙুরের রস নিয়মিত খেলে খুব বেশি মাথা ঘামিয়ে কাজ করবার পর যে দুর্বলতা আসে তা দূর হয় । যখন ব্রেনে রক্ত চলাচল কমে যায় তখন ব্রেন দুর্বল হতে থাকে । তার দরুণ কানে কম শোনা , চোখে কম দেখা , মাথা ঘোরা কোনও কোনও সময়ে চোখে একেবারে অন্ধকার দেখা , অনবরত সর্দিকাশি , থেকে থেকে মাথা ধরা , ঠাণ্ডা লাগা , ঝিমিয়ে থাকা ইত্যাদি সবই হতে পারে । প্রাচীন ও নবীন ডাক্তারের মতে এই সব তাজা ও শুকনো ফল যাতে ফসফরাস বেশি আছে- বিশেষ করে আপেল এবং বাদাম ব্রেনের উর্বরতা বাড়িয়ে তোলে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন