পাতলা ধাতু গাড় করার উপায়- অল্প উত্তেজনায় ক্ষরিত হয় । ১ টা সাদা বাতাসার মধ্যে ১০/১২ ফোঁটা বটের আঁঠা নিয়ে খেতে হবে রোজ সকালে নাস্তার পর ১ বার করে ১ মাস ।
কৃমি মেডিসিন- ২/৩ উচ্ছে থেতো করে রস বের করে সকালে খালিপেটে । ৭ দিন খেলে ক্রিমিনাশ হয়।
রক্তশুন্যতা- কুলেখাড়া ( বুলপী ) পাতার রস ৪ চামচ ১ চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালিপেটে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ১ মাস ।
মেদ কমানোর উপায় - ২ গ্রাম পরিমান সাদা তিল বেটে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ২১ দিন ।
তৃষ্ণারোগ- মুখা ৫ গ্রাম , ক্ষেতপাপড়া ৫ গ্রাম , বালা ৫ গ্রাম , ধনে ৫ গ্রাম , বেনামুল ৫ গ্রাম , রক্তচন্দন ৫ গ্রাম নিয়ে ৪ কেজি পানিতে সিদ্ধ করে ১ কেজি থাকতে নামিয়ে নিয়ে চেকে রেখে দিতে হবে । এই পানি অল্প অল্প করে বার বার রোগীকে খাওয়ালে তৃষ্ণারোগ নিবারিত হয় ।
উম্মাদ রোগ- ব্রাহ্মীশাকের রস ৩/৪ চামচ , কুড় চূর্ণ আধ চামচ , মধু ১ চামচ একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে প্রতিদিন সকালে টিফিনের পর ১ বার করে ১ মাস ।
হাঁপানি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা- তিন থেকে চার কোয়া রসুন খোসা ছাড়িয়ে রাতে টক দই মেখে রাখুন সকাল বেলা নাস্তা করার পর উক্ত দইসহ রসুন ভালো করে বেটে ১ কাপ গ্যমে দুধে দিয়ে খান , ১ মাস ।
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় - ধুতরা পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে রাখুন । হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে । গুড়ো গুড়িয়ে ধোয়া নাক মুখে দিয়ে টানলে অথবা বিড়ির মত করে খেলে শ্বাসকষ্টে উপকার পাওয়া যায় ।
আকস্মিক দুর্ঘটনা - বিভিন্ন রকমের দুর্ঘটনা প্রতি মুহূর্তে ঘটতে পারে । দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যোগাযোগ করা উচিত । প্রাথমিক অবস্থায় কিছু কিছু চিকিৎসা ঘরে বসেই করা যায় । দুর্ঘটনাজনিত কয়েকটি চিকিৎসার কথা নীচে আলোচনা করা হল ।
আগুনে পোড়া ঃ চিকিৎসা ও পোড়া জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে কেরোসিন তেল লাগালে জ্বালা কমে এবং ফোঙা পড়ে না । পুঁই পাতার রস দিলে তাড়াতাড়ি ঘা শুকিয়ে যায় । পোড়া জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে আলু খেতো করে লাগালেও জ্বালা যন্ত্রণা কমে ।
পথ্য ঃ আগুনে পোড়া রোগীকে ঘি খাওয়ানো উচিত । টক্ খাওয়ানো উচিত নয় ।
চিকিৎসা - পাথরকুচি পাতা বেটে লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয় , ক্ষতস্থান জোড়া লাগে এবং ঘা শুকিয়ে যায় । দুর্বা ও গাঁদা ফুলের পাতা বেটে লাগালেও উপকার হয় ।
পথ্যঃ রক্তবর্ধনকারী পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া উচিত । টক খাওয়া উচিত নয় ।
আঘাত লাগা চিকিৎসা - চুন এবং কাঁচা হলুদ বেটে গরম করে লাগালে উপকার হয় । ব্যথা কমে এবং আরাম হয় ।
পথ্যঃ আদা , পেঁয়াজ , রসুন কুচিয়ে কেটে তেলে ভেজে গরম ভাত দিয়ে খাওয়া উচিত ।
বিভিন্ন প্রকার রোগের চিকিৎসা
সর্দি ও কাশি লক্ষণঃ নাক দিয়ে পানি পড়া , হাঁচি , গলা খুসবুম , করা , জোর কাশি , গা - হাত পা কামড়ানো , বুক ব্যথা প্রভৃতি এই রোগের প্রধান লক্ষণ । ঠাণ্ডা লাগা , পানিতে ভেজা , বাতাস লেগে ঘাম গায়ে শুকানো , হঠাৎ করে গরম থেকে ঠাণ্ডা বা ঠাণ্ডা থেকে গরম যাওয়া এই রোগ সৃষ্টির কারণ । চিকিৎসা ঃ ( ১ ) বাসক পাতা ১০ গ্রাম , তুলসী মঞ্জুরী ১০ গ্রাম , ২৫০ গ্রাম , পানিতে ফুটিয়ে ১০০ গ্রাম হলে নামাতে হবে । ছেঁকে নিয়ে ৪ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে হবে ৫ দিন ।
( ২ ) বাসকপাতা ৪ গ্রাম , তুলসীপাতা ৪ গ্রাম , তেজপাতা ৩ গ্রাম , পিপুল ৩ গ্রাম এবং বচ্ ৩ গ্রাম একত্রে ৩ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ হলে নামাতে হবে । ঐ পানি উষ্ণ অবস্থায় চায়ের মতো খেতে হবে রোজ দুবেলা করে অন্ততঃ ৫ দিন ।
( ৩ ) বাচ্চাদের হুপিং কাশির জন্য ১০০ গ্রাম গাজর রস , ৫০০ গ্রাম মিছরী । ১০ গ্রাম বাসক পাতার রস এবং ১০ গ্রাম তুলসী মঞ্জুরী থেতো করা রস একত্রে জ্বাল দিয়ে যখন গাঢ় হবে তখন নামিয়ে ঠাণ্ডা করে শিশিতে ভরে রাখতে হবে । ঐ রস দিনে তিনবার রোগীকে খাওয়াতে হবে । প্রত্যেকবারে ১ চামচ রস সামান্য গোলমরিচের গুড়ো মিশিয়ে খেতে হবে । এই ঔষধ ১৫ দিন খেতে হবে ।
পথ্য ঃ পুষ্টিকর ও লঘু পাচ্য খাদ্য খেতে হবে । টক্ খাওয়া উচিত নয় ।
লক্ষণ ঃ ঠাণ্ডা লাগা , পানিতে ভেজা , বাতাস লেগে ঘাম বন্ধ হওয়া প্রভৃতি কারণে সর্দি জ্বর হয় । হাঁচি , নাক দিয়ে পানি পড়া , গা - হাত কামড়ানো , বুক ব্যথা , জ্বর জ্বর ভাব এই রোগের প্রধান লক্ষণ । চিকিৎসা- ১০ গ্রাম শিউলী পাতার রস , ১০ গ্রাম তুলসী পাতার রস , ১০ গ্রাম বাসব পাতার রস , ২ চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় খেতে হবে । ৩/৪ দিন ।
পথ্য : কালোজিরে , আদা , পেঁয়াজ , রসুন কুঁচিয়ে তেলে ভেজে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে হবে ।
আঙুল হারা ওষুধ ঃ ১। অজকর্ণ গাছের ছাল ৫০ গ্রাম , নিম ছাল ৫০ গ্রাম ও যষ্টিমধু ৫০ গ্রাম প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা করে বেটে আঙুলের উপর প্রলেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন ২/২৫ মিনিট । দিনে ২/৩ বার পর পর ৩/৪ দিন । ২। সোহাগা ৫০ গ্রাম , হাপরমালী ৫০ গ্রাম , তুলসীপাতা ২৫/৩০ টি সব একসঙ্গে বেটে প্রলেপ দিন । দিনে ৩/৪ বার করে ।
একজিমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা-
লক্ষণ ঃ এই রোগের প্রথমে একপ্রকার জ্বালাকর লাল পানি পূর্ণ ফুস্কুরি বের হয় । ঐ ফুস্কুরি চুলকাল বা লে গেলে ঘা হয় । ঐ ঘা হতে পানির মতো বা পুঁজের মতো রস বেরোয় ।
চিকিৎসা : পুনর্মবারিষ্ট খেতে হবে যে কোন কবিরাজী ঔষধের দোকান থেকে কিনে । এছাড়া অলিভ অয়েল লাগাতে হবে ।
পথ্য ঃ টক্ জাতীয় খাদ্য এবং অ্যালার্জী সৃষ্টিকারী খাদ্য খাওয়া নিষেধ । ।