প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া কি I করবেন মেহ রোগ কি I স্বপ্নদোষে কি রোজা ভঙ্গ হয়_বিডিঅলপোস্ট

কৃমি ঃ ৫ গ্রাম অশোখ ছাল ৫০০ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে নিতে হবে । ঐ পানি রোজ দু'বার খেতে হবে । ৫ দিন ।
অর্জুন গাছঃ টি.বি. এবং হৃদরোগ ঃ ১ চামচ অর্জুন ছাল গুঁড়ো ১ চামচ চিনি এবং ১ কাপ দুধ একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে সকালে টিফিনের পর । ১ মাস ।
রক্তাতিসারে ঃ ১ চামচ অর্জুন ছাল গুঁড়া ১ কাপ ছাগলের দুধ , ১ চামচ চিনি একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে সকালে আহারের পর । ৭ দিন ।
অপরাজিতা চোখের রোগে ঃ ৫/৬ টি অপরাজিতার পাতা বেটে কপালে লাগালে চোখ থেকে পানি পড়া ও চোখ জ্বালা আরাম হয় ।
শূলবেদনা ঃ নীল অপরাজিতা গাছের মূল ২ গ্রাম , ১ চামচ ঘি , ১ চামচ মধু , ১ চামচ চিনি একত্রে বেটে একটা পাত্রে রেখে দিতে হবে । রোজ খাবার পর আধাচামচ পরিমান খেতে হবে । ১৫ দিন ।
গোনঃ ১ কেজি ঠাণ্ডা পানিতে ৪/৫ টুকরো অপরাজিতার মূল আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে । এরপর ঐ পানি আস্তে আস্তে গোদের ওপর দিতে হবে ।

যজ্ঞডুমুর

প্রদররোগে ঃ ২৫ গ্রাম পরিমান পাকা যজ্ঞডুমুরের রস ঋতুর তিন দিন পর থেকে প্রতিদিন ১ বার করে খেতে হবে অন্ততঃ ১০ দিন ।

রক্তপিত্ত ঃ ২৫ গ্রাম পরিমান কাঁচা যজ্ঞডুমুরের রস চিনি মিশিয়ে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ৭ দিন । অতিরিক্ত তৃষ্ণায় ঃ পাকা যজ্ঞডুমুরের সামান্য রস সেবনে তৃষ্ণা নিরারিত হয় ।

অশ্বগন্ধা

দুর্বল শিশুর জন্য ঃ চায়ের চামচের আধচামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো ইষৎ উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে রোজ ১ বার করে খেতে হবে ১ মাস ।

অনিদ্রায় ৪ চায়ের চামচের ২ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো , দুধ ও চিনি মিশিয়ে খেতে হবে ২/৩ দিন । স্বপ্নদোষে ঃ ২ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে রাত্রে শোবার সময় । ১৫ দিন । শ্বাসরোগে ঃ ১ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো , ১ চামচ মধু , ১ চামচ গাওয়া ঘি একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে সকালে টিফিনের পর প্রতিদিন ১ বার করে ১ মাস ।

আমরুল

বুকে সর্দি বসে গেলে  ১০ গ্রাম পরিমান আমরুল শাকের রস ৫০ গ্রাম সরষের তেলে ফুটিয়ে ঐ তেল বুকে মালিশ করলে বুকের কফ বেরিয়ে যায় ।

কুণ্ঠ , অতিসার , বাতঃ প্রতিদিন আমরুল শাক রান্না করে খেতে হবে ১৫ দিন ।

মুখের অরুচিতে . প্রতিদিন আমরুল শাবের অম্বল বা টক রান্না করে খেতে হবে পরপর ৩/৪ দিন ।

গন্ধ ভাদুলে ( গাঁদাল পাতা )  ঃ

অজীর্ণ ৪ ভাতের সঙ্গে সামান্য গাঁদাল পাতা বাটা খেতে হবে ।

পেটের রোগেঃ কাঁচকলা , পেঁপে এবং গাঁদাল পাতা দিয়ে তৈরি শুক্তো খেতে হবে ।

আকন্দ:-

ফোলা ঃ যে কোন জায়গা ফুলে উঠলে আকন্দর পাতা বেঁধে রাখলে ফোলা কমে যায় ।

গেঁটে বাত ঃ সাদা আকন্দের পাতা বেঁধে রাখলে উপকার হয় ।

শূল বেদনায়ঃ আকন্দের পাতার মসৃণ দিকে সামান্য সরষের তেল মাখিয়ে পাতাটা অল্প আগুনে সামান্য গরম করে ব্যথার জায়গায় বেঁধে রাখতে হবে ।

আমলকী

প্রস্রাবের জ্বালা- ১ গ্লাস মিছরীর পানি ও ২ চামচ কাঁচা আমলকীর রস মিশিয়ে খেতে হবে ৩/৪ দিন । মেহরোগ - প্রতিদিন ১ টা করে কাঁচা আমলকী খেতে হবে ।

চুল ওঠা , পাকা- কাঁচা আমলকী বেটে নারকেল তেলে মিশিয়ে ১৫/২০ দিন মাথায় মাখতে হবে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন