যজ্ঞডুমুর
প্রদররোগে ঃ ২৫ গ্রাম পরিমান পাকা যজ্ঞডুমুরের রস ঋতুর তিন দিন পর থেকে প্রতিদিন ১ বার করে খেতে হবে অন্ততঃ ১০ দিন ।
রক্তপিত্ত ঃ ২৫ গ্রাম পরিমান কাঁচা যজ্ঞডুমুরের রস চিনি মিশিয়ে খেতে হবে রোজ ১ বার করে ৭ দিন । অতিরিক্ত তৃষ্ণায় ঃ পাকা যজ্ঞডুমুরের সামান্য রস সেবনে তৃষ্ণা নিরারিত হয় ।
অশ্বগন্ধা
দুর্বল শিশুর জন্য ঃ চায়ের চামচের আধচামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো ইষৎ উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে রোজ ১ বার করে খেতে হবে ১ মাস ।
অনিদ্রায় ৪ চায়ের চামচের ২ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো , দুধ ও চিনি মিশিয়ে খেতে হবে ২/৩ দিন । স্বপ্নদোষে ঃ ২ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে রাত্রে শোবার সময় । ১৫ দিন । শ্বাসরোগে ঃ ১ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো , ১ চামচ মধু , ১ চামচ গাওয়া ঘি একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে সকালে টিফিনের পর প্রতিদিন ১ বার করে ১ মাস ।
আমরুল
বুকে সর্দি বসে গেলে ১০ গ্রাম পরিমান আমরুল শাকের রস ৫০ গ্রাম সরষের তেলে ফুটিয়ে ঐ তেল বুকে মালিশ করলে বুকের কফ বেরিয়ে যায় ।
কুণ্ঠ , অতিসার , বাতঃ প্রতিদিন আমরুল শাক রান্না করে খেতে হবে ১৫ দিন ।
মুখের অরুচিতে . প্রতিদিন আমরুল শাবের অম্বল বা টক রান্না করে খেতে হবে পরপর ৩/৪ দিন ।
গন্ধ ভাদুলে ( গাঁদাল পাতা ) ঃ
অজীর্ণ ৪ ভাতের সঙ্গে সামান্য গাঁদাল পাতা বাটা খেতে হবে ।
পেটের রোগেঃ কাঁচকলা , পেঁপে এবং গাঁদাল পাতা দিয়ে তৈরি শুক্তো খেতে হবে ।
আকন্দ:-
ফোলা ঃ যে কোন জায়গা ফুলে উঠলে আকন্দর পাতা বেঁধে রাখলে ফোলা কমে যায় ।
গেঁটে বাত ঃ সাদা আকন্দের পাতা বেঁধে রাখলে উপকার হয় ।
শূল বেদনায়ঃ আকন্দের পাতার মসৃণ দিকে সামান্য সরষের তেল মাখিয়ে পাতাটা অল্প আগুনে সামান্য গরম করে ব্যথার জায়গায় বেঁধে রাখতে হবে ।
আমলকী
প্রস্রাবের জ্বালা- ১ গ্লাস মিছরীর পানি ও ২ চামচ কাঁচা আমলকীর রস মিশিয়ে খেতে হবে ৩/৪ দিন । মেহরোগ - প্রতিদিন ১ টা করে কাঁচা আমলকী খেতে হবে ।
চুল ওঠা , পাকা- কাঁচা আমলকী বেটে নারকেল তেলে মিশিয়ে ১৫/২০ দিন মাথায় মাখতে হবে ।